সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রীতি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জিরারগাঁও গ্রামের আবদুল মতিন (৩৫) ও আকবর হোসেন (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে জিরারগাঁও গ্রামের মাঠে আবদুল মতিন ও আকবর হোসেন নামের দুই ব্যক্তির পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা হয়। খেলার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য আবদুল মতিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেনের বাড়িতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে মতিনের পক্ষের লোকজন বাজারে গিয়ে আকবর ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আবদুল মতিন, আকবর হোসেনসহ সাতজন আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আবদুল মতিন ও আকবর হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাহিদুল হক জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আকবর হ স ন স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা

নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায়  বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও 

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।

পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্থার কার্যালয় পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড়ে ঘেরা টিনশেডে ভিমরুলের চাক
  • বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা