ছক্কার উৎসবে পুরান ছাড়া সবাই নতুন
Published: 16th, August 2025 GMT
টি-টোয়েন্টির অপর নাম ছক্কার ক্রিকেট। এটা আসলে নতুন করে বলার প্রয়োজনও নেই। আর এই ছক্কার খেলায় প্রতিবছর দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন ছক্কাবাজকে। চলতি বছরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকার প্রথম তিনটি নামই বলা যায় অনেকটাই নতুন। শীর্ষে পাঁচে স্বাভাবিকভাবেই আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকারা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছেন ডেভাল্ড ব্রেভিস। ১২ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৫ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরেছেন ৮৫টি।
৩০ ইনিংস খেলে ৮৫টি ছক্কা মেরেছেন এই বেবি এবিখ্যাত এই ব্যাটসম্যান। ২৯ ইনিংসে ৪৫.
ছক্কার সংখ্যা সমান হলেও ওয়েনের চেয়ে ১১টি ইনিংস কম খেলেছেন সাহিবজাদা। পাকিস্তানের এই ওপেনার মাত্র ২৫ ইনিংসে ৭৭টি ছক্কা মেরেছেন, ওয়েন ৩৬ ইনিংসে। গড় বিবেচনাতেও বেশ এগিয়ে সাহিবজাদা। পাকিস্তানের এই ওপেনারের গড় ৫৫.৭৮, ওয়েনের ২৫.৬২।
ওয়েন মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেন, তাঁর কাজ দ্রুত রান তোলা। সেটা তিনি অবশ্য বেশ ভালোই করছেন। এ বছর ১৯৬.৭১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদার স্ট্রাইক রেটও ভালোই, ১৬৬.১৯।
ছক্কামেশিন নিকোলাস পুরান।উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছক ক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।