আইনজীবী সমিতির নির্বাচন : প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বার
Published: 17th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করে কোর্ট প্রাঙ্গনে মিছিল করেছে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত (সবুজ প্যানেল) এড. হাফিজ মোল্লাহ-মাঈন উদ্দিন পরিষদ।
এসময় সভাপতি প্রার্থী এড. হাফিজ মোল্লাহ বলেন, এই বিচার অঙ্গনের উপর নির্ভর করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা। নির্বাচনের উদ্দেশ্য হলো এই আইন অঙ্গনে সুষ্ঠু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। আইনজীবী ও বিচারকদের সমন্বয়ে একটি বিচার বেরিয়ে আসে। যদি আমরা জয় লাভ করি তাহলে বিচারক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে কিভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট হবো।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এড.
নির্বাচন কমিশনকে বলবো আপনারা লক্ষ্য রাখবেন এবং আগামীকাল থেকে যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘিত না হয়। যদি আচরণবিধির হেরফের হয় তাহলে যেখানে যা প্রয়োজন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। আমরা একটি সুশৃঙ্খল, ন্যায় আইনজীবী পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী এড. জাহাঙ্গীর দেওয়ান, সহ-সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আল-আমীন, কোষাধ্যক্ষ এড. ইস্রাফিল, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. নিজাম উদ্দিন, লাইব্রেরী সম্পাদক এড. গোলাম সারোয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক এড. ইমরান হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. মজিবুর রহমান, সমাজসেবা সম্পাদক এড. নূর-ই-আলম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. মাসুদুর রহমান, কার্যকরী সদস্য এড. গোলাম মোস্তফা, এড. আফরোজা জাহান, এড. রাকিবুল হাসান, এড. তাওফিকুল ইসলাম দিপু, এড. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আচরণব ধ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
দুই আসামিকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেল রাষ্ট্রপক্ষ
চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী মজুমদার নামের এক ছাত্রকে হত্যার মামলায় দুই আসামিকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার এ আদেশ দেন। দুজন হলেন শাহাদাত হোসাইন ওরফে সাজু ও শাহ সেলিম ওরফে টিপু।
হিমাদ্রী মাদকবিরোধী সংগঠন শিকড়ের সদস্য ছিলেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় কুকুর লেলিয়ে ছাদ থেকে ফেলে তাঁকে হত্যা করা হয়।
ওই মামলায় ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল ও অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। তিন আসামি হলেন জুনায়েদ আহম্মদ ওরফে রিয়াদ, জাহিদুল ইসলাম ওরফে শাওন ও মাহবুব আলী খান ওরফে ড্যানি। খালাস পাওয়া দুজন হলেন শাহাদাত হোসাইন ওরফে সাজু ও শাহ সেলিম ওরফে টিপু। এই দুজনকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা। শাহ সেলিমের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী শুনানিতে ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আপিলের সঙ্গে জামিন আবেদন শুনানি হবে বলেছেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি কারাগারে আছেন জানিয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সায়েম ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, দুজনকে খালাসের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত রায় স্থগিত করেন। এ স্থগিতাদেশ চলমান।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের একটি ভবনের পাঁচতলার ছাদে নিয়ে হিমাদ্রীকে মারধরের পর তাঁর ওপর কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ওই বছরের ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান পাঁচলাইশের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী।
এ ঘটনায় হিমাদ্রীর মামা অসিত কুমার দে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের আদালত রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ওই বছরই হাইকোর্টে আসে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। কারাগারে থাকা তিন আসামি পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং দুজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন।