সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
Published: 22nd, September 2025 GMT
গাজীপুরে কলহের একপর্যায় সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার পর রনি শেখ (৩৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গাজীপুর মহানগরের বাইমাইল এলাকায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি শেখ ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকোপা এলাকার শেখ রহমতের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ধর্ষিত শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা চিকিৎসক বরখাস্ত
নোয়াখালী হাসপাতালে র্যাবের অভিযান, ৭ দালালের কারাদণ্ড
ছুরিকাঘাতে আহত বৃষ্টি আক্তার (২৭) রাজবাড়ীর কালুখালী থানার গড়িয়ানা এলাকার হাকিম মোল্লার মেয়ে। তিনি রনি শেখের সাবেক স্ত্রী। তারা দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন বলেন, ‘‘বৃষ্টির সঙ্গে রনির প্রায় এক বছর আগে তালাক হয়ে গেলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল এবং প্রায়ই রনি সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ঝগড়া-বিবাদের জের ধরে সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন রনি।’’
তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতে বৃষ্টির মৃত্যু হয়েছে ভেবে রনি ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’’
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে বৃষ্টি পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী রনি শেখকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর বৃষ্টি বাইমাইল পুকুরপাড় এলাকায় আলাদা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তালাক হয়ে যাওয়ার পরও বৃষ্টির ভাড়া বাসায় রনি যাওয়া-আসা করতেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বাসায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৃষ্টিকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। এতে বৃষ্টি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে রনি শেখ সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বাইমাইল এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসান বলেন, ‘‘তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে তালাক হয়ে গেলেও রনি তার সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।’’
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার আদালতে হট্টগোল, আসামিপক্ষের আইনজীবীকে হেনস্তা
ঢাকার একটি আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীর শুনানির সময় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে ওই আইনজীবীকে আদালতকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনসহ সাত আসামিকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
বরিকুল ইসলামের আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন এ এস এম আলী হায়দার। একপর্যায়ে তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘একটা সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার অনেক ফ্লো (গতি) ছিল। সময়ের পরিক্রমায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলো এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা মামলা করেছে, তাদের অনেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় আমরা দেখব, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা থেকেও অনেকে নাম প্রত্যাহার করবে। আমরা দেখেছি, এর জন্য বিহাইন্ড দ্য সিন অনেক টাকার লেনদেনও হয়েছে।’
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী আলী হায়দারের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, ‘আপনি এটা কী বলছেন? এটা এক্সপাঞ্জ করেন।’
তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে চান। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো সুযোগ দেননি। একপর্যায়ে তাঁকে এজলাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় আদালতকক্ষে হট্টগোল হয়। কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে অন্য আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যকের ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় মিছিল বের করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বরিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে আজ ওই মামলায় আদালতে হাজির করা হয়।