গাজীপুরে কলহের একপর্যায় সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার পর রনি শেখ (৩৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গাজীপুর মহানগরের বাইমাইল এলাকায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রনি শেখ ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকোপা এলাকার শেখ রহমতের ছেলে।

আরো পড়ুন:

ধর্ষিত শিশুর স্বজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা চিকিৎসক বরখাস্ত

নোয়াখালী হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৭ দালালের কারাদণ্ড

ছুরিকাঘাতে আহত বৃষ্টি আক্তার (২৭) রাজবাড়ীর কালুখালী থানার গড়িয়ানা এলাকার হাকিম মোল্লার মেয়ে। তিনি রনি শেখের সাবেক স্ত্রী। তারা দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন বলেন, ‘‘বৃষ্টির সঙ্গে রনির প্রায় এক বছর আগে তালাক হয়ে গেলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল এবং প্রায়ই রনি সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ঝগড়া-বিবাদের জের ধরে সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন রনি।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতে বৃষ্টির মৃত্যু হয়েছে ভেবে রনি ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’’

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে বৃষ্টি পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী রনি শেখকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর বৃষ্টি বাইমাইল পুকুরপাড় এলাকায় আলাদা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তালাক হয়ে যাওয়ার পরও বৃষ্টির ভাড়া বাসায় রনি যাওয়া-আসা করতেন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বাসায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৃষ্টিকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। এতে বৃষ্টি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে রনি শেখ সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

বাইমাইল এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসান বলেন, ‘‘তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে তালাক হয়ে গেলেও রনি তার সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।’’

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

সহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

বিকেল চারটার দিকে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা জুবেরী ভবনে ঢুকতে চাইলে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারসহ শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে দু-হাত প্রসারিত করে বাধা হয়ে দাঁড়ান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

এরপর সহ-উপাচার্যসহ কর্মকর্তারা জুবেরী ভবনের দোতলায় একটি কক্ষে যান। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জুবেরী ভবনের সিঁড়ি ও বারান্দায় অবস্থান নিয়ে সহ-উপাচার্যকে আটকে রেখে বিক্ষোভ করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য ও সরেজমিনে দেখা যায়, আজ বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়ি আটকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সহ-উপাচার্যের গাড়ির ইঞ্জিনের ওপর প্রতীকী ‘ভিক্ষা’ হিসেবে খুচরা টাকা দেন। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে সহ–উপাচার্যকে গাড়িতে আটকে বিক্ষোভ করা হয়। এরপর গাড়িচালকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা গাড়ির চাবি কেড়ে নিলে সহ-উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাঁর পিছু নেন। একপর্যায়ে দৌড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে সেখানে আটকা পড়েন সহ-উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।

আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ শর্তে ফিরল পোষ্য কোটা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্যের গাড়ি আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। শনিবার বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: জোহায় অনশন, জুবেরীতে অবস্থান শিক্ষার
  • পোষ্য কোটা নিয়ে রাবিতে ছাত্র-শিক্ষক হাতাহাতি
  • সহ-উপাচার্যকে আটকে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি
  • ‘হত্যার পর লাশ গুম করতে ফেলে দেওয়া হয় খালে’