সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।

আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদের যে পথে রয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন হবে: নাহিদ ইসলাম 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদের যে পথে রয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন হবে। সনদের আদেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে। সনদে কোনো নোট অব ডিসেন্ট থাকবে না। আশা করব, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের দিকে যাব।’’

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলন কক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে না পারলে রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কথা ছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা ব্যর্থ হলেও আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’’
 
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘বিগত ১৬ বছর দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হতো। ফ্যাসিবাদী কাঠামো বাংলাদেশে এখনো রয়ে গেছে। ব্যক্তি ও সমাজের চিন্তার পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়।’’ 

এনসিপি’র আহ্বায়ক বলেন, ‘‘বেকারত্ব দূর করতে হলে শিক্ষা খাতে হাত দিতে হবে আগে। সেখানে সংস্কার আগে করতে হবে। আমরা যদি শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে না পারি, তাহলে রাষ্ট্রের পরিবর্তন সম্ভব নয়।’’

ঢাকা/রায়হান/ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ