কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
Published: 22nd, September 2025 GMT
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে । এছাড়া ৩২ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঘটনার সাত মাস পর রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
অনলাইন জুয়ার এজেন্ট যবিপ্রবির ছাত্র গ্রেপ্তার
শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় কর্মবিরতির নেপথ্যে রাকসু বানচালের চেষ্টার অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড.
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমএসসির সালিম সাদমানকে ১ বছরের জন্য এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২৩ ব্যাচের ওমর বিন হোসাইন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২১ ব্যাচের শান্ত ইসলাম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মো. হৃদয় ও ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২২ ব্যাচের সাফওয়ান আহমেদ ইফাজকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম এ এ হাশেমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। এরপর ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্যকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নানা ঘটনায় সাড়ে ৫ মাস বন্ধ ছিল কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর গত ২৯ জুলাই থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রদূতে আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক
এতে ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ এবং ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচএম মোশারফ হোসেনসহ সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকবৃন্দ।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নিজেদের মতামত প্রদান করেন সম্পাদকবৃন্দ।
প্রস্তাবিত ৫০০০ ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা সম্বলিত চায়না-বাংলাদেশ মৈত্রী হলের নির্মাণ কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু হবে বলে আলোচনা হয়। ডাকসুর নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো দুটো হল নির্মাণের প্রস্তাব দেন এবং রাষ্ট্রদূত তা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় ধাপে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, স্কলারশিপ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ডাকসুর নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে স্মারক প্রদান করা হয় এবং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী