কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে সা‌হেরা বেগম (৭২) না‌মের এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে‌ছে পু‌লিশ। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‌পৌরসভার রামদাস ধনিরাম এলাকায় নিজ বা‌ড়ির রান্নাঘ‌র থে‌কে মর‌দেহটি উদ্ধার ক‌রা হয়।

নিহত সা‌হেরা বেগম ওই এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী এবং সা‌বেক সংর‌ক্ষিত নারী ইউপি সদস‌্য।

আরো পড়ুন:

নিজ ঘ‌র থেকে বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ঝালকাঠিতে আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, মিলল চিরকুট

পু‌লিশ ও স্থানীয় সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, প্রতিদি‌নের মতো রবিবার দিবাগত রা‌তে খাবার খে‌য়ে ঘু‌মি‌য়ে প‌ড়েন সা‌হেরা বেগম। ‌সোমবার সকা‌লে তার ছোট ছে‌লের স্ত্রী রান্নাঘ‌রে গি‌য়ে শাশু‌ড়ির গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাক‌তে দে‌খেন। এ সময় তার চিৎকা‌রে আশপা‌শের লোকজন জ‌ড়ো হ‌ন। খবর‌ পে‌য়ে পু‌লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ক‌রে।

নিহ‌তের বড় ছে‌লে সাখাওয়াত হো‌সেন বাবু জানান, সকা‌লে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, মা‌ গলাকাটা অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। তিনি দীর্ঘ‌দিন ধ‌রে মান‌সিকভা‌বে অসুস্থ ছি‌লেন।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ‌জিল্লুর রহমান ব‌লেন, ‘‘মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে ময়নাতদ‌ন্তের জন‌্য হাসপাতালের ম‌র্গে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/সৈকত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ দ হ উদ ধ র র গল ক ট উদ ধ র ক

এছাড়াও পড়ুন:

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ 

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চীনের রাষ্ট্রদূতে আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

রাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনে ইবির জিয়া পরিষদের সংহতি

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ১৮ গবেষক

এতে ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ এবং ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচএম মোশারফ হোসেনসহ সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকবৃন্দ।

সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নিজেদের মতামত প্রদান করেন সম্পাদকবৃন্দ। 

প্রস্তাবিত ৫০০০ ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা সম্বলিত চায়না-বাংলাদেশ মৈত্রী হলের নির্মাণ কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু হবে বলে আলোচনা হয়। ডাকসুর নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো দুটো হল নির্মাণের প্রস্তাব দেন এবং রাষ্ট্রদূত তা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় ধাপে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, স্কলারশিপ, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

ডাকসুর নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে স্মারক প্রদান করা হয় এবং ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ