শেরপুরের মালিঝি নদ থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার
Published: 23rd, September 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মালিঝি নদ থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভাটিগাংপাড় এলাকা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মালিঝি নদের কাপাসিয়া এলাকায় উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে স্রোতে ভেসে আসা অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। নদে পানির স্রোত থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা লাশটি উদ্ধার করতে পারেননি। রাতে লাশ ভাসতে ভাসতে ভাটির দিকে যেতে থাকে। পরে রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে যোগানিয়া ইউনিয়নের ভাটিগাংপাড় এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। লাশে কাটা দাগ রয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের পর এই লাশ কোথাও কবর দেওয়া হয়েছিল। পাহাড়ি ঢলে হয়তো কবর ভেঙে লাশ ভেসে এসেছে৷ ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
সময় বাড়ে, প্রকল্প শেষ হয় না
চট্টগ্রাম নগর পরিষ্কার রাখা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য সাতটি বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছিল ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। সাত বছর পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও বাকি পাঁচটিরও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করে চুক্তি বাতিলের আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শুধু পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসন প্রকল্প নয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চলমান আরও তিনটি প্রকল্পের কাজও চলছে ঢিমেতালে। ৩ থেকে ১১ বছর ধরে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ঠিক সময়ে প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি নগরবাসীও।
জলাবদ্ধতা নিরসনে বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের সুপারিশ করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনায়। প্রায় ২০ বছর পর ২০১৪ সালে তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। নির্ধারিত সময় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজই শুরু করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটি তিন দফা সংশোধন করা হয়েছে। চার দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয় আট বছর।ভবন নির্মাণ ছাড়া অন্য তিনটি প্রকল্প হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বহদ্দারহাটের বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প; নগরের কুলগাঁও এলাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ এবং নগরের বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প। চার প্রকল্পের মোট খরচ হবে ৫ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
সিটি করপোরেশনের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, অপ্রতুল বরাদ্দ, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বাধা-প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকল্পগুলোর কাজ আটকে ছিল। সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলছেন, এখন কাজে গতি এসেছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনার ঘাটতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কাজ বন্ধ। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের বান্ডেল রোড এলাকায়