চতুর্থ গকসু নির্বাচন, ভোটগ্রহণ শুরু
Published: 25th, September 2025 GMT
৭ বছর পর আবারো গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ একর ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৯টি কেন্দ্রে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: ২০ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, বাতিল ৪
গকসু নির্বাচন: ভোটের আগেই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত।
এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৩ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে মনোনয়নপত্র বিতরণ, যাচাই-বাছাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা হয়।
নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক তদারকিতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরো ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে ৩৫০ জন নিরাপত্তা সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী এবং কুইক রেসপন্স টিমও দায়িত্ব পালন করছে।
ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গকসু নির্বাচন জাতীয় নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম গকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হলেও ২০২০ সালে তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আট দিনে এনসিপির ১ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রি, লক্ষ্য ৩ হাজার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করার পর গত আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মনোনয়নপত্র বিতরণের পূর্বঘোষিত সময় শেষ হলেও তা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনসিপির মনোনয়নপত্র কেনা যাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় তিন হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনে আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা ইনশা আল্লাহ ছুঁতে পারব।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জনগণের জনপ্রতিনিধিদের সংসদে পাঠানোর জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র ছেড়েছিলাম। ইতিমধ্যে ১ হাজার ১১টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। আমরা মানুষের কাছ থেকে অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি। চিকিৎসক, আইনজীবী, পেশাজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আলেম-ওলামা, শিক্ষক—সব জায়গা থেকে আমরা আবেদন পাচ্ছি। জনগণের উদ্দীপনা ও আগ্রহ দেখে আমরা এই সময়সীমা আরও বাড়িয়েছি। এটা আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।’
বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া অনলাইন থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান।
সাংবাদিকদের মধ্যে যাঁরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চান, তাঁদেরও এনসিপির মনোনয়নপত্র কেনার আহ্বান জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘কারণ, আপনাদের যে মজুরি, এটা বাংলাদেশে এখনো ঠিক হয়নি। আপনারা সংসদে গিয়ে আপনাদের মজুরি, মালিকদের নিষ্পেষণ-নিপীড়ন নিয়ে কথা বলার জন্য মনোনয়নপত্র তুলবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ পুরো বাংলাদেশের মানুষকে আমরা জানাতে চাই, আমরা দক্ষ ও যোগ্য প্রতিনিধি সংসদে পাঠাতে চাই। আমরা কোনো গডফাদারকে সংসদে পাঠাতে চাই না, চাঁদাবাজদের পাঠাতে চাই না, সন্ত্রাস যারা করে, তাদের পাঠাতে চাই না। আমরা কিছু ভালো মানুষকে পাঠাতে চাই।’
এর আগে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা। তবে জুলাই যোদ্ধা এবং স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য মনোনয়নপত্রের দাম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।