৭ বছর পর আবারো গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ একর ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৯টি কেন্দ্রে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ।

আরো পড়ুন:

চাকসু নির্বাচন: ২০ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, বাতিল ৪

গকসু নির্বাচন: ভোটের আগেই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন

শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারায় তারা উচ্ছ্বসিত।

এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৩ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে মনোনয়নপত্র বিতরণ, যাচাই-বাছাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা হয়।

নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক তদারকিতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরো ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে ৩৫০ জন নিরাপত্তা সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী এবং কুইক রেসপন্স টিমও দায়িত্ব পালন করছে।

ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আবুল হোসেন।

তিনি বলেন, “দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গকসু নির্বাচন জাতীয় নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।”

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম গকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হলেও ২০২০ সালে তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গকস

এছাড়াও পড়ুন:

আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন: তামিম

মাঠের ক্রিকেট ছেড়ে ক্রিকেট প্রশাসনের অংশ হয়ে ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে অংশ নিতে সব প্রক্রিয়াতেই ছিলেন। নিজের পছন্দের একটি প্যানেলও তৈরি করেছিলেন, যাদেরকে নিয়ে এগিয়ে নিবেন দেশের ক্রিকেট৷

কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম৷ তার শঙ্কার জায়গা ছিল, নির্বাচনকে ঘিরে নোংরামি করা হচ্ছে। তার ওপর আলাদা চাপ আছে এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে নির্বাচনের জন্য আদর্শ পরিবেশ পাচ্ছিলেন না তামিম। এ কারণে নিজ থেকে সরে গেছেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর তামিম বলেছেন, `আপনারা বলেন ফি*ক্সিং বন্ধ করেন ক্রিকেটে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন। এটা কোনো ইলেকশান ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ইলেকশন কালো দাগ হয়ে থাকবে। বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। এটা সুন্দর প্রক্রিয়া হতে পারে না। যারা বোর্ডে আছেন তারা চাইলে এভাবে ইলেকশন করতে পারেন, জিততেও পারেন। তবে আজকে ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেছে।'’

গতকাল বিকেলে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর পর থেকেই তামিমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। তাতে যোগ দেবেন আরও ক্লাব।

আজ সকালে ১০ টার পর তামিম সর্বপ্রথম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এরপর আরও ১৪টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জমা পরে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে চূড়ানত সংখ্যা জানা যাবে। 

ঢাকা/ ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হলেন যাঁরা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন কারা
  • তামিম বললেন, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন
  • আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন: তামিম
  • বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তামিম বললেন—ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন