টি-টোয়েন্টি চার-ছক্কার খেলা। যত বেশি ছক্কা মারতে পারবেন ততই ভালো। সে হিসেবে এই সময়ে অভিষেক শর্মার চেয়ে ভালো সম্ভবত আর কেউ নেই। ভারতের এই ওপেনার প্রায় এক ওভার পরপরই ছক্কা মারেন।

নিশ্চয়ই বিশ্বাস হচ্ছে না? টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের ছক্কা মারার হার সবচেয়ে ভালো। অন্তত ৫০ ছক্কা মারা খেলোয়াড়দের মধ্যে হিসাবটি করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। প্রতি ৬.

৮৩ বল পরপর ছক্কা মারেন অভিষেক। সহযোগী দেশের খেলোয়াড়দের হিসাবে নিলে ভারতীয় ওপেনার এ তালিকায় দ্বিতীয়। জিব্রাল্টারের কাইরন স্ট্যাগনো প্রতি ৬.৬১ বল পরপর ছক্কা মারেন।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে ছক্কা মারার হারে অভিষেকের পরই রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ অলরাউন্ডার প্রতি ৭.২১ বল পরপর ছক্কা মেরেছেন।

ভারতের হয়ে অভিষেকের অভিষেক গত বছর জুলাইয়ে। ২২ টি-টোয়েন্টিতে ২১ ইনিংসে ব্যাট করা এই বাঁহাতি ওপেনার তাঁর অভিষেকের পর থেকে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছেন। ২১ ইনিংসে তাঁর ছক্কাসংখ্যা ৫৮টি। সহযোগী দেশগুলো বিবেচনায় নিলে এ সময় শুধু অস্ট্রিয়ার করণবীর সিং (৯৯) ও আরব আমিরাতের মুহাম্মদ ওয়াসিম (৬০) অভিষেকের চেয়ে ছক্কা মারায় এগিয়ে।

তবে প্রতি ৬.৮৩ বল পরপর ছক্কা মারার পরিসংখ্যানটি অভিষেকের হাওয়ায় ভাসিয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠানোর আশ্চর্য ক্ষমতারই প্রমাণ। তালিকায় অন্য নামগুলো দেখলে অভিষেকের ছক্কা মারার সামর্থ্যের প্রতি সমীহ জাগবেই। অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড প্রতি ৭.৮৭ বল পরপর ছক্কা মারেন। এভিন লুইস ৮.৪৯ বল পরপর এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ১০.৮৬ বল পরপর ছক্কা মারেন। ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও প্রতি ১০.৮৬ বল পরপর ছক্কা মারেন।

আরও পড়ুনছাড়তে ছাড়তে ১২টি ক্যাচ ছেড়ে হংকংকেও পেছনে ফেলল ভারত১ ঘণ্টা আগে

প্রতি ইনিংসে ২.৭৬টি করে ছক্কা মেরেছেন অভিষেক। অন্তত ৫০ ছক্কা মারা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সেরা ছক্কা মারার হার। সেটা অবশ্যই সহযোগী দেশগুলোকেও বিবেচনায় নিয়ে। করণবীর সিং ৩৬ ইনিংসে মেরেছেন ১১৩ ছক্কা—যেটা ইনিংসপ্রতি ৩.১৪টি করে ছক্কা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল ৭৫ রানের ইনিংসে ৫ ছক্কা মারেন অভিষেক

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ছক ক

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

মানিকগঞ্জে থেমে থাকা একটি স্কুলে বাসে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ বাসচালক পারভেজ খান (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছেলে সুমন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ফলসাটিয়াতে স্কুলবাসে আগুন দেয় সন্ত্রাসীরা। এসময় বাসের ভেতর ঘুমন্ত পারভেজ গুরুতর দগ্ধ হন। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা ইউনিয়নের বাড়াইভিকরা গ্রামে।

আরো পড়ুন:

ঢাকায় সমাবেশে আহত সেই শিক্ষিকা মারা গেছেন

লিবিয়ায় নৌকাডুবি: ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

আরো পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে আগুন 

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‍“গত বৃহস্পতিবার স্কুলবাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। এতে দগ্ধ হন বাসটির ভেতর  ঘুমিয়ে থাকা চালক পারভেজ। পুলিশ উদ্ধার করে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। স্কুলবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” 

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ