গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ভোটগণনা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোটগণনা চলছে। গণনার জায়গায় কোনো প্রার্থীর এজেন্ট, প্রার্থী, সাংবাদিক কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এতে ভোটগণনার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এমনকি ভোটে শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্বের শঙ্কাও করছেন তারা।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছয়জন করে শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে চারজন পোলিং এজেন্ট, একজন গণনা পর্যবেক্ষক, একজন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট, প্রার্থী বা সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আরো পড়ুন:

গকসু নির্বাচন: ১৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

গকসু নির্বাচন: ভেতরে ভোটগ্রহণ, বাইরে বহিরাগতদের বিশৃঙ্খলা

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। এরপর শুরু হয় ভোটগণনা। এর পরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতির বিষয়টি তুলে ধরলে প্রশাসন সেটিতেও রাজি হয়নি। একপর্যায়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পাঁচ সাংবাদিককে কেন্দ্রে ঢুকতে দিলেও তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে বাধার শিকার হওয়া বণিক বার্তার সাংবাদিক মেহেদী মামুন বলেন, “আমরা ভোটগ্রহণ দেখতে পেরেছি। কিন্তু এর পরবর্তীতে ভোটগ্রহণের পর আমরা জানতে পারি, ভোটগণণা চলছে। কিন্তু সেখানে কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। সাংবাদিকদের প্রবেশ বা বের হওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বিধিনিষেধ।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা রাখতে বলা হয়েছে। তাদের দাবি ছিল, পোলিং এজেন্ট না নিলেও অন্তত সাংবাদিকদের যেন ঢুকতে দেওয়া হয়। ভিপি প্রার্থীও একই অভিযোগ করেন। এরপরে ক্যাম্পাসের পাঁচজন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। বাইরের কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া একটা বদ্ধ পরিবেশে গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে অস্বচ্ছভাবে গণনার প্রক্রিয়া চলছে। আর সাংবাদিকরাও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাঁধার শিকার হয়েছেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে কোনো সাংবাদিককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ভোটার-প্রার্থীদের চাপের মুখে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) কর্মরত পাঁচজন সাংবাদিককে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানেও করিডোরে সবাই অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে তথ্য নিচ্ছেন। ছবি গ্রহণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। গণনা সরাসরি দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে বের হওয়া ব্যালট বক্সগুলো আমরা দেখতে পারছি শুধু।

গকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী শেখ খোদার নুর ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশন আমাদের বলেছিল, নির্বাচন চলাকালে পোলিং এজেন্ট দেওয়া যাবে না, যেহেতু প্রার্থী বেশি। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন ভোটগণনা শুরু হয়, সেখানে আমরা যারা প্রার্থী আছি, যেহেতু প্রার্থী কম, তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া যেত। সেখানে দেখছি, শিক্ষকরা ভোটগ্রহণ করছেন। একজন প্রার্থীর ভোট যে আরেকজনের খাতায় তোলা হচ্ছে না, সে বিষয়ে আমরা প্রার্থীরা নিশ্চিত নই।”

“শিক্ষক যারা আছেন, তারা যে বায়াস নয়, তা তো আমরা নিশ্চিত নই। কারণ বিগত সময়ে বিভিন্ন শিক্ষকের নামে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সময় যারা দোসর হিসেবে কাজ করেছেন, তারাও নির্বাচন কমিশনের অংশ হিসেবে কাজ করছেন। ফলে কীভাবে নিশ্চিত হব, কেন আস্থা রাখব? আমার ভোট আমার খাতায় গণনা হচ্ছে কি না, সেটা জানা আমার অধিকার,” যোগ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র ড.

ফুয়াদ হোসেন বলেন, “প্রতি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য ছয়জন শিক্ষক দায়িত্বে ছিলেন। তারাই ফলাফল গণনা করে তাদের স্বাক্ষর করা ফরমে কন্ট্রোল রুমে ভোটের ফলাফল জমা দেবেন। কন্ট্রোল রুমে সব ভোটের ফলাফল জমা হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) চারটি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। ভোটকেন্দ্রে মোট ৫০ জন পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করেন।”

গকসুর নির্বাচন কমিশনার ডা. মো. জামিলুর রহমান বলেন, “ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন কেন্দ্রে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো এজেন্ট থাকবে না এটা তাদের সাথে আগেই কথা হয়েছে। ভোট কারচুপির কেনো সুযোগ নেই। যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা চ্যালঞ্জের সাথে জবাব দেব।”

ঢাকা/সানজিদা/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গকস ন বল ন প রব শ ফল ফল গ রহণ করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল

২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’

২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’

জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ