Risingbd:
2025-11-17@09:31:19 GMT

বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম

Published: 26th, September 2025 GMT

বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম

বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে, তবে এরই মধ্যে ফের বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছে, সরবরাহ কম থাকায় গত সপ্তাহে তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজিতিই গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেট হাজারীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন বাজারে দেশি শশা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর (দেশি) ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, সিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, ফুলকপি পিস ৮০ টাকা, বাঁধাকপি পিস ৭০ টাকা এবং প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জলপাই ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে মাছের দাম। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার কারণে মাছ চাষি থেকে শুরু করে পাইকারি বিক্রেতা সবাই লোকসান আছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা কেজি দরে। চাষের পাঙাস কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, দেশি শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এখন এক কেজির বেশি ওজনের বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকায়। ৫০০ গ্রাম ওজনের ওপরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়।

তবে আমদানি বাড়ায় বাজারে গত কয়েক সপ্তাহে চালের দাম কমেছে। এখন বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকা। বিভিন্ন ব্রান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৭৫-৮০ টাকায়, ব্রি-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, পাইজাম ৫৮-৬০ টাকা কেজি। স্বর্ণা ও গুটি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। 

রাজধানীর রায়েরবাজার কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী রিনা বেগম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখন ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না। আমাদের মত নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য চাহিদা মত মাছ মাংস সবজি খাওয়া কষ্টকর। এখন মাসে একবারও গরুর মাংস খাওয়া হয় না। ঐ কোরবানির ঈদে দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আর মাছের দামও বেশি। তাই আজকে বাধ্য হয়ে ডিম নিয়ে যাচ্ছি। সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।”

রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান মিয়া বলেন, “গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম বেড়েছে। এখনো বাজারে শীতকালীন সবজি পুরোপুরি আসেনি। যখন শীতকালীন সবজি বাজারে পুরোদমে চলে আসবে তখন দাম কমতে শুরু করবে।”

ঢাকা/রায়হান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৮০ ট ক ৭০ ট ক ন সবজ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় রায় হলো ৩৯৭ দিনের মাথায়

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা হয়েছিল গত বছরের ১৭ অক্টোবর। তারপর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল বিচার। সবশেষে রায় হতে সব মিলিয়ে লাগল ৩৯৭ দিন।

আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এর দেওয়া রায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে।

সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান রয়েছেন ভারতে। তাদের দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম রয়েছে নিষিদ্ধ।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে।

পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলার কার্যক্রম শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেদিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয়। ওই দিনই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

আরও পড়ুনরাষ্ট্র কেন শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিল০৫ নভেম্বর ২০২৫

এ মামলায় প্রথমে শেখ হাসিনাই ছিলেন একমাত্র আসামি। এ বছরের ১৬ মার্চ তাঁর পাশাপাশি সাবেক আইজিপি আল-মামুনকেও আসামি করা হয়।

একাধিকবার সময় বাড়ানোর পর চলতি বছরের ১২ মে এই মামলায় চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নাম প্রথমবারের মতো আসে গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদনে। সেদিন থেকে এ মামলায় আসামি হন তিনজন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান ও আল-মামুন।

তাঁদের বিরুদ্ধে গত ১ জুন ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এর মধ্য দিয়ে ‘মিসকেস’ আনুষ্ঠানিকভাবে মামলায় রূপ নেয়।

এরপর গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই আল–মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হওয়ার আবেদন করেন।

গত ৩ আগস্ট এ মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা।

মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ। তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

আরও পড়ুনমানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড১ মিনিট আগে

এ মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ৮ অক্টোবর। এরপর যুক্তিতর্ক শুরু হয় গত ১২ অক্টোবর, যা শেষ হয় ২৩ অক্টোবর।

সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল জানান, ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সব মিলিয়ে ‘মিসকেস’ থেকে এ মামলার রায় ঘোষণা পর্যন্ত সময় লেগেছে ৩৯৭ দিন।

পলাতক শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আমির হোসেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম আগেই বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সাজা হলে তাঁরা আপিল করতে পারবেন না। এর কারণ তাঁরা পলাতক। আপিল করতে হলে তাঁদের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ