শাপলা প্রতীক না পেলে রাজপথে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সারজিস আলমের
Published: 26th, September 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক সংকট নিয়ে সংগঠনের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেব। যদি প্রতীক না দেওয়া হয়, তবে আমাদের সমাধান হবে রাজপথে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ পৌর টাউন হলে আয়োজিত দলের সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সারজিস আলম। তিনি অভিযোগ করেন, বৈধ প্রক্রিয়া মেনেই এনসিপি প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো আইনগত বা যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, কেন এনসিপিকে প্রতীক দেওয়া হবে না। সারজিসের দাবি, ইসি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনশাপলা প্রতীক না পেয়ে সারজিস বললেন, নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেবেন২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫এ সময় এনসিপির এই নেতা জানান, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও সমমনা আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে এনসিপির আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনায় আছি, কিন্তু আমাদের প্রধান লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ।’
আরও পড়ুননাগরিক ঐক্যও শাপলা চেয়েছিল, দেওয়া হয়নি: সিইসি১৯ ঘণ্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম আরও বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির অংশ হিসেবে দেশে মামলাবাজি চলছে। নিরপরাধদের হয়রানি বন্ধ না হলে এনসিপি প্রতিবাদে নামবে। নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘২০২৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যাঁরা অংশগ্রহণ করে সুবিধা ভোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন, বা ফ্যাসিস্ট কাঠামোতে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে বলতে চাই, তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন১১৫টি নির্বাচনী প্রতীক, তালিকায় নেই শাপলা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।