এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আশা পূরণ হয়েছে। আশা পূরণ হয়েছে সম্প্রচারক থেকে বাজিকরদেরও। পাকিস্তানের তো খুশিতে ডগমগ করার কথা। এরূপ ‘সাহায্য’ তারা ইতিপূর্বে পেয়েছে কি না, সেটা গবেষণার বিষয়। ভারতও কি খুশি হয়নি? হাত না মেলানোটা রাজনৈতিক বিষয়, ফাইনালে মাঠের লড়াইয়ে চাই একটু শক্ত প্রতিপক্ষ—সে হিসেবে বাংলাদেশ আসলে ভারত–পাকিস্তান দুই দলের মনের আশাই পূরণ করেছে।

এসিসির কাছ থেকে সে জন্য বাংলাদেশ দল ধন্যবাদ পেতে পারে। ৪১ বছর ধরে এশিয়া কাপে একটা ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে তাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। প্রতিবারই এশিয়া কাপের সূচি এমনভাবে করা হতো, যেন দুই দল ফাইনালসহ সর্বোচ্চবার মুখোমুখি হতে পারে, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। এবার সে ভাগ্য লিখে দিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের বৃহৎ স্বার্থে এমন আত্মত্যাগ কয়টা দল পারে? দুবাইয়ে আগামী রোববার ফাইনালে তাই কেউ কেউ তিনটি দলের জাতীয় সংগীত বাজানোর দাবি তুলতে পারেন।

না, মাঠে তো ফাইনালে ওঠা দুই দলের জাতীয় সংগীতই বাজবে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো যায় ফাইনালের আবহসংগীত হিসেবে। অনেকটা–ই বাংলা সিনেমার খুব পরিচিত সেই দৃশ্যের মতো, শেষ দিকে কাঙ্ক্ষিত কোনো মিলন বা মুখোমুখি যে বা যাঁদের আত্মত্যাগের কারণে হয়—তখন একটা মিহি করুণ সুরের সঙ্গে সেই আত্মত্যাগকারীর ছবি পর্দার এক কোণে ভেসে ওঠে। ফাইনালে তেমন কোনো মুহূর্ত এলে পাকিস্তান দলও বাংলা সিনেমার কোনো চরিত্রের মতো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলতে পারে, ‘আজ বাংলাদেশ দল (গ্যালারিতে) থাকলে.

..।’

মাত্র ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে আসা–যাওয়ার মিছিলে মেতেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল

২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’

২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’

জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ