অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আরেকটি নির্বাচন দিতে হবে: সাদা দল
Published: 26th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। সংগঠনটি বলছে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
আজ শুক্রবার সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম ও অধ্যাপক মো.
৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বড় জয় পায় ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি (সহসভাপতি), জিএস (সাধারণ সম্পাদক), এজিএসসহ (সহসাধারণ সম্পাদক) ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছেন।
সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যবাহী সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
সাদা দলের নেতারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় বা বাইরে থেকে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ে এর প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। তদন্তে কারচুপি ও জালিয়াতি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যদি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের আমলে অনুষ্ঠিত অবৈধ নির্বাচনের মতোই ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের একটি প্রহসনমূলক ও কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে।
আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ২০ ঘণ্টা আগেসাদা দল আরও বলেছে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে