যেনোতেনো নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নিবেনা : মাও, জব্বার
Published: 26th, September 2025 GMT
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫- দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর উদ্যােগে ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম'আ বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ শেষে বক্তব্যে মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন দেশের সাধারণ মানুষ এবার পরিবর্তন চায়,পতিত স্বৈরাচারী সরকারের মতো আর কোন ভোট ডাকাতি দেখতে চায়না।
দেশের সিংহ ভাগ মানুষ যেখানে পি আর পদ্ধতি চায় আশাকরি নির্বাচন কমিশন বিষয়টি আমলে নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করার আগেই পি আর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায়। তিনি বলেন, আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লেভেল প্লেইং ফ্লিড।
যারা নির্বাচন, নির্বাচন করছেন আগের মতো যদি ভোট ডাকাতি হয়ে যায়, আগের মতো যদি আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা হয়। তাহলে এটি বাংলাদেশের কেউ মেনে নিবেনা।
যারা সংস্কার ছাড়া নির্বাচন, নির্বাচন জিকির করছেন, তাদের উদ্যেশে তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে একটি ষড়যন্ত্র মূলক পরিকল্পনা হচ্ছে, যেনোতেনো করে বাংলাদেশে একটি পাতানো নির্বাচন দিয়ে আবার একটি দলকে নির্বাচিত করে স্বৈরাচারী করে গড়ে তোলা।
অনেকেই বলেন ক্ষমতায় গিয়ে খুনিদের বিচার করবেন, ফ্যাসিস্টদের সাইজ করবেন আমরা মনে করি যেনোতেনো নির্বাচন এর মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি না দিলে কেও কেও আপনাদের রিসাইজ করার জন্য অপেক্ষায় আছে।
এটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর হতে দিবেনা। দেশের সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে ধোকা দেওয়া আর হতে দিবো না। এবার ন্যায় ইনসাফের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। তাই জামায়াতের ৫ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই করতে হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।