অভিযোগ যাচাই ছাড়াই বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন: ছাত্রদল
Published: 27th, September 2025 GMT
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে করা অভিযোগের বিষয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেছে ছাত্রদল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত শেষে সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিযুক্ত সত্য জবাব শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবে বলে তাদের আশা।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলসহ পরাজিত বিভিন্ন প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিবৃতি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের পরে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আবেদনপত্রগুলো অনেকটাই অস্পষ্ট। আবেদনকারীদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।
ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া বিবৃতিতে মোটাদাগে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণের আবেদনগুলোকে অনির্দিষ্ট বলা হয়েছে। কিন্তু প্রার্থীরা তাঁদের আবেদনপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল কেন্দ্রের কিছু নির্দিষ্ট বুথের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার জন্য আবেদন করেছেন। আর ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দ্বারা উত্থাপিত সন্দেহের বিষয়টি নির্বাচনের দিনের সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ছাড়া নিরসন করা সম্ভব নয়। ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ ‘পাবলিক ডকুমেন্ট’ নয় সেটি জেনেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে প্রার্থীরা তা ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনার আবেদন করেছেন।
ছাত্রদলের বিবৃতিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন দিনের মধ্যেই অভিযোগ নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সুনির্দিষ্ট ১১টি অনিয়ম ও অসংগতির অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেগুলোকে সারবত্তাহীন ও অনির্দিষ্ট কেন বলা হলো, তা অত্যন্ত অস্পষ্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পোলিং এজেন্টরা ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। ছবিসহ তালিকা প্রকাশে আইনি জটিলতা থাকলেও শুধুই উপস্থিতি চিহ্নিত করার সুযোগ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব আবেদনকে অনির্দিষ্ট বা সারবত্তাহীন হিসেবে উল্লেখ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব বলেই প্রতীয়মান হয়। ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর প্রমাণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় তা অস্বীকার করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, অভিযোগ খারিজ না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যোগ্য বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করতে হবে। দ্রুত সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে আনতে হবে।
আরও পড়ুনআবেদনপত্রগুলো ‘অনেকটাই অস্পষ্ট’, বলছে প্রশাসন২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, পদ ৩৪
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে চার ক্যাটাগরির ৩৪টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গত সোমবার এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের এসব পদে আবেদন করা যাবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
পদের নাম ও বিবরণ
১. কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০/– টাকা (গ্রেড–১৩)।
২. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৬
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ এবং কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই–মেইল, ফ্যাক্স পরিচালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০/– টাকা (গ্রেড–১৩)।
৩. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৭
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ এবং কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই–মেইল, ফ্যাক্স পরিচালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৯,০০০–২২,৪৯০/– টাকা (গ্রেড–১৬)।
৪. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ২০
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০/– টাকা (গ্রেড–২০)।
বয়সসীমা (সব পদের ক্ষেত্রে)
১৮ থেকে ৩২ বছর। বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
আবেদনের নিয়ম
https://pd.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। অনলাইন ব্যতীত আবেদন করা যাবে না।
আবেদন ফি
১ থেকে ৩ নম্বর ক্রমিকের পদের জন্য ১০০/– টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২/– টাকা (মোট ১১২/– টাকা)।
৪ নম্বর পদের জন্য ৫৬/– টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬/– টাকা (মোট ৫৬/– টাকা)।
*সব গ্রেডের পদের ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণির (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের আবেদন ফি ৫৬/– টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬/– টাকা (মোট ৫৬/– টাকা)।
*আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ৭ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১০টা।
আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, বিকেল পাঁচটা।
নির্দেশনা
১। সব পদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ১, ২ ও ৩ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত পদের জন্য লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
২। প্রবেশপত্র পাওয়ার বিষয়টি https://pd.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে ও প্রার্থীর মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে (শুধু যোগ্য প্রার্থীদেরকে) যথাসময়ে জানানো হবে।