বাংলাদেশি আম্পায়ার আউট দিলেন, শানাকা রান আউটও হলেন, তবু কেন আউট নয়
Published: 27th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপে গতকাল রাতে সুপার ফোরে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সুপার ওভারে ঘটল এক বিরল ঘটনা। তাতে বিভ্রান্ত হলেন খেলোয়াড়, দর্শক, এমনকি ধারাভাষ্যকারেরাও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বেঁচে যান শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা।
ঘটনাটি সুপার ওভারে চতুর্থ বলে। ভারতের বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং শানাকার অফ স্টাম্পের বাইরে দারুণ এক ইয়র্কার মারেন। শানাকা বলটি খেলতে পরাস্ত হন, বল চলে যায় উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের হাতে। অর্শদীপ সঙ্গে সঙ্গে ক্যাচ আউটের আবেদন করেন। মাঠে বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেল আউট দেন।
অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটে এর মধ্যেই। ভারতের উইকেটকিপারের হাতে বল থাকতে শানাকা দৌড়ে এক রান নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্যামসন ‘আন্ডারআর্ম থ্রো’ করে স্টাম্প ভাঙেন। তখন ক্রিজ থেকে অনেক দূরে ছিলেন শানাকা। অনেকেই তখন ভেবেছিলেন, শানাকা রান আউট এবং শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ।
কিন্তু নিয়মের কারণে বেঁচে যান শানাকা। ক্রিকেটের আইন বলছে, আম্পায়ার যখন কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করেন, তখনই ওই ডেলিভারিটি ‘ডেড’ হয়ে যায়। মানে এরপর যা কিছু ঘটে, তার কোনো গুরুত্ব নেই। গাজী সোহেল ক্যাচের আউট দেওয়ার পর শানাকা সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন। আলট্রা এজে দেখা যায়, ব্যাটে বল লাগেনি। সিদ্ধান্ত বদলে যায়—ক্যাচ আউট হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী এরপর রান আউটের ঘটনাটি বিবেচনার সুযোগ নেই। কারণ, মাঠের আম্পায়ার ক্যাচ আউট দেওয়ার পরই ডেলিভারিটি ডেড হয়ে যায়।
আইসিসির আইনে ২০.
ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। ইরফানের এক্স হ্যান্ডলে এ নিয়ে লেখা হয়, ‘ক্যাচ আউট দেওয়া হয়েছে এবং রিভিউ নেওয়ায় বল (ডেলিভারি) ডেড। আম্পায়ার গাজী সোহেল নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করেছেন ভারতের কাছে। প্রথম সিদ্ধান্তটাই টিকেছে এবং বোলারের প্রান্তের আম্পায়ার যখন আউট ঘোষণা করেছেন, তখনই বলটি (ডেলিভারি) ডেড। এ কারণে শানাকা রান আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেছে।’
আরও পড়ুননাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কাকে সুপার ওভারে হারাল ভারত৮ ঘণ্টা আগেতবে সুপার ওভারে শানাকা টিকতে পারেননি। পরের বলেই অর্শদীপ তাঁকে আউট করেন। শ্রীলঙ্কা থামে মাত্র ২ রানে। ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার প্রথম বলেই ৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেন।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছে ভারতউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য চ আউট আম প য় র র ন আউট আউট দ
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি-সুয়ারেজদের হারিয়ে প্লে’অফে শিকাগো ফায়ার
দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্লে-অফে জায়গা করে নিল শিকাগো ফায়ার এফসি। বাংলাদেশ সময় বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে দারুণ গোল উৎসবের ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করল তারা ২০১৭ সালের পর প্রথম প্লে-অফ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে শিকাগো। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই জ্বলে ওঠেন জে দ’আভিলা। তিনি চমৎকার এক হেডারে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ৩১ মিনিটে দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করেন জনাথন ডিন। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে একসময় চাপে পড়ে যায় মায়ামি।
আরো পড়ুন:
এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়
বুসকেটসের অবসর ঘোষণা: এক নিঃশব্দ শিল্পীর শেষ অধ্যায়
তবে ৩৯ মিনিটে টমাস আভিলেস গোল করে ব্যবধান কমান। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগেই রোমিং কুওমে গোল করে আবারও দুই গোলে এগিয়ে দেন শিকাগোকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে মায়ামি পুরোপুরি ভরসা রাখে লুইস সুয়ারেজের অভিজ্ঞতায়। ৫৭ মিনিটে তার গোলেই ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২। এরপর জর্ডি আলবার দুর্দান্ত পাস থেকে ৭৪ মিনিটে সমতায় ফেরান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ম্যাচ তখন দাঁড়িয়ে যায় ৩-৩ এ, আর মনে হচ্ছিল খেলা একেবারেই মায়ামির দিকে হেলে পড়ছে।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে নতুন নাটক লিখে শিকাগো। ৮০ মিনিটে জাস্টিন রেইনল্ডস গোল করে আবারও এগিয়ে দেন দলকে। মাত্র তিন মিনিট পর দূরপাল্লার ঝড়ো শটে ব্রায়ান গুতিয়েরেজ নিশ্চিত করেন শিকাগোর স্মরণীয় জয়।
এই জয়ে এমএলএস টেবিলে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে শিকাগো (১৫ জয়, ৬ ড্র, ১১ হার)। অন্যদিকে লিওনেল মেসির মায়ামি (১৬ জয়, ৮ ড্র, ৭ হার) যদিও আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে রেখেছে। তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য থাকলেন আর্জেন্টাইন তারকা। আর এই হারের ফলে সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে বড় ধাক্কা খেল মায়ামি। এখন শুধু জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত করতে পারবে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, ম্যাচটি মূলত হওয়ার কথা ছিল ৩০ আগস্টে, কিন্তু লিগস কাপ ফাইনাল খেলতে গিয়ে মায়ামির কারণে তা পিছিয়ে যায়। সেই ম্যাচে সিয়াটলের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
ঢাকা/আমিনুল