নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ধস, শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা
Published: 27th, September 2025 GMT
নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যে একটি স্বর্ণখনিতে ধস নেমে অন্তত ১০০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং বেঁচে ফেরা শ্রমিকদের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার ধসের সময় খনির ভেতরে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে আরো অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্য সানুসি আওয়াল রয়টার্সকে বলেন, “আমরা ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। এখনও অন্তত ১০০ জনের মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছে।”
খনি থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক ইসা সানি বলেন, “আমরা যারা বেঁচে ফিরেছি, তারা সৌভাগ্যবান। এখনও অন্তত শতাধিক মরদেহ চাপা পড়ে আছে।” জামফারা খনি শ্রমিকদের সংগঠনের নেতা মুহাম্মাদু ইসা জানিয়েছেন, খনিটিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এ বিষয়ে জামফারা পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবাকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, জামফারা অঞ্চলে অবৈধভাবে স্বর্ণখনন অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। এসব খনি প্রায়ই সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা সহিংসতা ও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। নিয়ন্ত্রণহীন এই খনিগুলোর অনিরাপদ পরিবেশের কারণে অতীতে একাধিকবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভয়াবহ আগুন কলকাতার বড়বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ ইঞ্জিন
কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারের কাছে বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। শনিবার ভোর রাতে আগুন লাগলেও সেই আগুন সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বরং দ্রুত আগুন ছড়াচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইঞ্জিনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভালো করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। কীভাবে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন।
আরো পড়ুন:
ভারত যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
চীন সীমান্তের পাশে নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত
যদিও ফায়ার সার্ভিসের তরফে সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি, তারা আগুন নেভাতেই এখনো পর্যন্ত ব্যস্ত। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ