ভাইবোনের যে উদ্যোগে বদলে গেল ১০০ জনের জীবন
Published: 27th, September 2025 GMT
গল্পের শুরুটা হয়েছিল এক সাধারণ গৃহিণীর ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা থেকে—চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে। কিন্তু কে জানত, সেই সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা একদিন বাংলাদেশের সৌন্দর্য জগতে ‘ন্যাচারালস বাই রাখি’ নামের এক সফল ব্র্যান্ডের জন্ম দেবে! যশোরের উদ্যমী দুই ভাইবোন রাখি সাহা ও ভিক্টর সাহার হাত ধরে বেড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি কেবল তাঁদের নিজেদের স্বপ্নকেই সত্যি করেনি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে শতাধিক মানুষের।
একচিলতে ঘরোয়া উদ্যোগ থেকে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের চার হাজার বর্গফুটের আধুনিক কার্যালয়—তাঁদের এই পথচলা যেকোনো নবীন উদ্যোক্তার জন্য এক দারুণ অনুপ্রেরণা। সম্প্রতি যশোরের মেহেদিপাতা ও জবা ফুলের অপরূপ এক বাগানে বসে ভিক্টর সাহার সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে তাঁদের এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনের গল্প।
মূল সূচনা হয়েছিল রাখি সাহার (৩৭) ব্যক্তিগত এক সংকট থেকে। ২০২০ সালে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর মারাত্মক চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মায়ের কাছ থেকে শেখা ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নেওয়ার শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সাধারণ উপাদান, যেমন মেথি, কালিজিরা, জবা ফুল, নিমপাতা, অ্যালোভেরা, আমলকি ও খাঁটি নারকেল তেল দিয়ে একটি বিশেষ তেল তৈরি করেন। এই তেল ব্যবহারে তিনি এতটাই উপকার পান যে তাঁর চুল পড়া তো কমেই, সঙ্গে নতুন চুলও উঠতে শুরু করে।
রাখি সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সাফল্যই আমার নিজের জন্য কিছু একটা করার আত্মবিশ্বাস জোগায়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ছোট ভাই ভিক্টর সাহাকে (৩১) আমি এই ইচ্ছার কথা জানাই। তত দিনে ভিক্টর ফ্রিল্যান্সিংয়ে (ডিজিটাল বিপণন) বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। আমার এই সাফল্যের গল্পে সে একটি ব্যবসায়িক সম্ভাবনা দেখতে পায়। তখন ভিক্টরই “ন্যাচারালস বাই রাখি” নামটি ঠিক করে এবং একটি ফেসবুক পেজ ও লোগো তৈরি করে এর যাত্রা সূচনা করে।’ এভাবেই শুরু হয় ভাইবোনের সাফল্যের যাত্রা।
নিজেদের প্রতিষ্ঠানে রাখি সাহা ও ভিক্টর সাহা (ডানে).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ফল য
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে