নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনকেই হামলার দায় নিতে হবে : রিজভী
Published: 27th, September 2025 GMT
রূপগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ছাত্রদলের সাবেক নেতা দোলন ভূঁইয়াকে দেখতে এসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, এ হামলার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এই দোলনকে হত্যার উদ্দেশ্যে যারা তার শরীরকে আঘাত করেছে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর দায় কিন্তু নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন এড়াতে পারবে না, এই দোলনের উপর যারা হামলা করেছে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রটেকশন পাচ্ছে তাদেরকে স্থানীয় প্রশাসন কেন গ্রেফতার করছে না, আমাদের দাবি আজকের মধ্যে ওইসব অপকর্ম কারীদের গ্রেপ্তাার দেখতে চাই।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখানে যদি আরেকটা কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন। যদি অপরাধীদের পেছনে প্রভাবশালী কেউ থাকে, এবং সে যদি বিএনপির কেউ হয়, তাহলে আমাদের জানান-আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে যদি প্রশাসন চুপ থাকে, তাহলে দায় নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনকেই নিতে হবে।
প্রশাসেনর বিভিন্ন স্তরে আওয়ামী লীগের দোসররা অবস্থান করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা সত্বেও অপরাধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি দোলনের রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের বাড়িতে আসেন। এসময় তিনি "আমরা বিএনপি পরিবার’ এর পক্ষ থেকে তাকে সহায়তা করেন।
সহায়তা প্রদান শেষে তিনি মন্তব্য করেন “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নস্যাৎ করতে পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে”।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা চারজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মাধ্যমে দেশের সকল অপকর্ম পরিচালনা করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান কামাল এই গ্যাং অব ফোর এরা যত হত্যা সব নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রটাকে অপরাধী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কিছু মানুষকে হত্যা করার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, দরকার হলে হেলিকপ্টার থেকে বোমা ফেলো’। এটা কোনো সভ্য দেশের শাসনব্যবস্থা হতে পারে না।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কয়েকদিন যাবত দেখতে পেয়েছেন মেয়র তাপসসহ গ্যাং অব ফোরের এসব অপকর্মকারীদের সাথে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে কীভাবে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব ফোনালাপে উঠে এসেছে তাদের খুনের মনোবৃত্তি, ডাকাতির মনোবৃত্তি, রক্ত পিপাসু মনোবৃত্তির নানা বহিঃপ্রকাশ।
আহত ছাত্রদল নেতা দোলন ভূঁইয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, দলের একজন সাধারণ কর্মীও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। পত্রপত্রিকায় অপরাধীদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরও কেন তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না?
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বালু মহাল, ঘাট দখল করে সমাজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রশাসনের ভেতরেই আওয়ামী লীগ বসে আছে, তাই তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ উপস্থিত ছিলেন "আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব ও শাহাদত হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা.
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় দোলন ভূঁইয়া মারাত্মকভাবে আহত হন। সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ভূমিদস্যু কাওসারের নেতৃত্বে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদল নেতা দোলন ভুইয়াকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার ডান হাত সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সন ত র স ছ ত রদল প রক শ অপর ধ রহম ন ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
না.গঞ্জ সদরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইউনুস আলী।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে শহরের উকিল পাড়া পুজা মন্ডপ, গলাচিপা পূজা মন্ডপ ও শ্রীশ্রী গোপাল জিউর মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বিভিন্ন পূজা মন্ডপে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান এবং পূজা মন্ডপে আগত ভক্তদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। শেষে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।