প্রেমিককে বিয়ে করলেন সেলেনা গোমেজ
Published: 28th, September 2025 GMT
জাস্টিন বিবারের সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর প্রযোজক বেনি ব্লাঙ্কোকে মন দেন জনপ্রিয় মার্কিন সংগীতশিল্পী সেলেনা গোমেজ। এক বছর আগে তারা বাগদান সারেন। এবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন এই তারকা জুটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম নিউ ইর্য়ক পোস্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন সেলেনা গোমেজ-বেনি ব্ল্যাঙ্কো। বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে। তবে তা ছিল তারকাখচিত।
আরো পড়ুন:
তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ান্না
ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
তাছাড়া সেলেনা তার ইনস্টাগ্রামে একাধিক হৃদয়ছোঁয়া ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ করেন। এসব ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “৯.
শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেলেনা গোমেজ তার স্বামীর কালো বো-টাই ঠিক করে দিচ্ছেন। এরপর তারা একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে চুমু খান। সেলেনার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অনুরাগী-সহকর্মীদের মন্তব্য দেখে পাল্টা মন্তব্য করেছেন বেনি ব্ল্যাঙ্কো। তিনি লেখেন, “বাস্তব জীবনে আমার স্ত্রী।”
ভোগ ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, সেলেনা- বেনি ব্ল্যাঙ্কো দম্পতি প্রায় ১৭০ জন আত্মীয় ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সি ক্রেস্ট নার্সারির সবুজ পরিবেশে প্রতিজ্ঞা বিনিময় করেন। তারকাখচিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— টেলর সুইফট, পল রাড, অ্যাশলি পার্ক, গোমেজের ‘অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং’ এর সহ-অভিনেতা মার্টিন শর্ট ও স্টিভ মার্টিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্যারিস হিলটন, এড শিরান প্রমুখ।
কানাডিয়ান পপতারকা জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন সেলেনা গোমেজ। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। সবশেষ এ সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৮ সালে তাদের ৬ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যায়। তারপরই হেইলি বল্ডউইনের সঙ্গে বাগদান সারেন জাস্টিন বিবার। এ খবর জানার পর মানসিকভাবে আহত হয়েছিলেন সেলেনা।
সেলেনা তার তথ্যচিত্রে বলেছিলেন, “বিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদ বছরের পর বছর আমাকে তাড়া করেছে। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। তবে এসব এখন কেবলই অতীত, যা থেকে আমি সেরে উঠছি।”
বিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের কাজে মন দেন সেলেনা গোমেজ। ২০১৯ সালে সংগীতশিল্পী বেনি ব্ল্যাঙ্কোর সঙ্গে একটি গানে কাজ করেন এই গায়িকা। এরপর কেটে যায় কয়েক বছর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই জুটি তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন। গত বছর বাগদান সারেন, এবার পরিণয় পেল তাদের প্রেম।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘তোকে গুলি করে মারব না, ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারব’
প্রকাশ্যে গুলি করে চট্টগ্রামে একের পর এক খুনের ঘটনায় উঠে আসছে তাঁর নাম। হত্যা মামলায় তাঁকে আসামিও করেছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার। পুলিশ তাঁকে হন্য হয়ে খুঁজলেও থেমে নেই তাঁর অপরাধ। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ রায়হানের বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীকে রায়হান বলেন, ‘তোকে গুলি করে মারব না, ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারব।’
হুমকি পাওয়া ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. একরাম। তিনি পাথরের ব্যবসা করেন। আজ সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁকে ফোন করেন সন্ত্রাসী রায়হান। পরে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো খুদে বার্তায় তাঁকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারার হুমকি দেন।
কেন হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চাইলে ব্যবসায়ী একরাম বলেন, গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মলে ঘুরতে দেখে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। এরপর সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না এবং বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ তাঁকে হুমকি দেন। ওই হুমকির ঘটনায় তিনি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছিলেন। এরপর মামলা তুলে নিতে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে হুমকির বিষয়ে থানায় মামলা কিংবা জিডি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ী একরাম।
নগর ও জেলার বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উঠে এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। —আমিনুর রশিদ, সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম), চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।একরামের স্ত্রী রুমা আক্তার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হুমকির পর রাতে বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে বলার সঙ্গে সঙ্গে সোয়াত টিমসহ পুলিশের দল বাসার সামনে পাহারায় রয়েছে। ভয়ে আমার স্বামী এখন বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। বের হলে সঙ্গে পুলিশ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুনরাউজানে যুবদলকর্মী আলম খুনেও আলোচনায় ‘সন্ত্রাসী’ রায়হানের নাম২৬ অক্টোবর ২০২৫বেপরোয়া ছোট সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। ছোট সাজ্জাদ ১৫ মার্চ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর বাহিনীর দেখভাল করছেন রায়হান।
পুলিশ জানায়, হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় কারাগারে গিয়ে চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়হানের। গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুজন কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এরপর ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রায়হান। সাজ্জাদ সম্প্রতি আবারও কারাগারে গেলে রায়হান তাঁর অস্ত্রভান্ডারের দেখভাল করছেন।জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর আগেও হুমকির বিষয়ে মামলা করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী।’
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশিদ বলেন, নগর ও জেলার বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উঠে এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন‘আমি রায়হান, মাথার খুলি উড়ায় ফেলব’০৮ আগস্ট ২০২৫একের পর এক খুনে রায়হানের নামচট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী জনসংযোগে অংশ নেওয়া ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে (৪৩) গুলি করে হত্যা করা হয় ৫ নভেম্বর। এর তিন দিন আগে সরোয়ারকে ফোন করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রায়হানের বিরুদ্ধে। নিহত সরোয়ারের বাবা জানান, রায়হান সরোয়ারকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে।’
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতলে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে। এই হত্যা মামলায় রায়হানকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাজনৈতিক এই হত্যাকাণ্ডে রায়হান ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেছেন। জীবিত অবস্থায় মুঠোফোনে আলমগীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আলমগীরকেও রায়হানের নাম উল্লেখ করে শঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—তিন দিন আগে হুমকি পেয়েছিলেন সরোয়ার০৬ নভেম্বর ২০২৫পুলিশ জানায়, হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় কারাগারে গিয়ে চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়হানের। গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুজন কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এরপর ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রায়হান। সাজ্জাদ সম্প্রতি আবারও কারাগারে গেলে রায়হান তাঁর অস্ত্রভান্ডারের দেখভাল করছেন।
গত ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট এলাকার এক ওষুধের দোকানিকেও মুঠোফোনে হুমকি দেন রায়হান। তিনি ওই দোকানিকে বলেন, ‘আমি ঢাকাইয়া আকবর খুনের মামলার ২ নম্বর আসামি রায়হান, মাথার খুলি উড়ায় ফেলব। ...আকবর সি বিচে কীভাবে পড়ে ছিল তুই দেখছস? তুইও পড়ে থাকবি।’
চাঁদা না পেয়ে গত ১ আগস্ট চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকার এক ব্যবসায়ীকেও গুলি করার অভিযোগ ওঠে রায়হানের বিরুদ্ধে। মো. ইউনুস নামের ওই ব্যবসায়ী নদী থেকে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত খননযন্ত্রের ব্যবসা করেন। পুলিশ জানায়, রায়হানের নামে গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় জোড়া খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা মামলা।