কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা, কার্যালয় ভাঙচুর
Published: 28th, September 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা এবং তার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া বাজারে তাকে মারপিট করা হয়। আহত বিএনপি নেতার ভাই দুলাল শেখ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আটজনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরো পড়ুন:
যারা নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার চেষ্টায় আছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে
বিএনপি নির্বাচিত হলে কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড করা হবে: টুকু
আহত নেতার নাম রাশিদুল জাম্মান (৫৫)। তিনি কয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাত, মুখ, পিঠ এবং পায়ের মাংস পেশিতে আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেছেন, ‘‘এটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। আহত বিএনপি নেতার ভাই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালোয়া বাজারে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কার্যালয় থাকলেও সম্প্রতি রাশিদুল জাম্মান আরেকটি কার্যালয় খোলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কার্যালয়ে হামলা চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিদুল জাম্মান বলেন, ‘‘কালোয়া বাজারে আমার দলীয় কার্যালয় রয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিপক্ষের বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের ভাই সোহেল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিন্টু খন্দকার, আওয়ামী লীগ সমর্থক ইয়ারুলসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে এবং কার্যালয় ভাঙচুর করে।’’
সুষ্ঠু বিচারের আশায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে কয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়।’’
৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বকুল হোসেনও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অন্য এলাকা থেকে এসে রাশিদুল বাজারের শান্তি নষ্ট করছেন। কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বরং রাশিদুল নিজেই তার কার্যালয়ের ছবি খুলে নিয়ে চলে গেছেন।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স প ট ম বর ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নেত্রকোনায় সাংবাদিক লুৎফুজ্জামান আলিফের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনা সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদৎ, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি পারভেজ, হামলার শিকার লুৎফুজ্জামান আলিফ প্রমুখ।
লুৎফুজ্জামান আলিফ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর দুপুরে লুৎফুজ্জামান আলিফ ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ জেলার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি পরে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গতকাল বাড়ি ফেরেন।
এ ঘটনায় লুৎফুজ্জামান বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন। এতে দুর্গাপুর পৌরশহরের পশ্চিম মোক্তারপাড়া এলাকার ইমরান ইসলাম ওরফে ইমন (২৩) ও পুলিশ মোড় এলাকার মো. সৌরভের (২৩) নামোল্লেখ করে এবং আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।