ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে (বিসিসিআই) এলো বড় পরিবর্তন। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ডের ৩৭তম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন দিল্লি অধিনায়ক মিথুন মানহাস। তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন রজার বিনির স্থলাভিষিক্ত হয়ে, যিনি বয়সসীমার কারণে গত মাসে অবসর নিয়েছিলেন।

দেশীয় ক্রিকেটের তারকা, বোর্ডের নতুন নেতা:
৪৫ বছর বয়সী মিথুন মানহাস একসময় ছিলেন দেশীয় ক্রিকেটের রানমেশিন। ১৫৭ ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে তার সংগ্রহ ৯ হাজার ৭১৪ রান, সঙ্গে ২৭টি সেঞ্চুরি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৩০ ম্যাচ আর আইপিএলে খেলেছেন ৫৫টি ম্যাচ। ২০১৭ সালে অবসরের আগে ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন এক নির্ভরযোগ্য নাম। আজ সেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষপদে।

আরো পড়ুন:

সুপার ফোরে একাধিক বাড়তি ‘সুবিধা’ পাবে ভারত

বড় জয়ে শুরু ভারতের

এজিএমে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে:
রাজীব শুক্লা থাকছেন সহ-সভাপতি,
দেবজিৎ শইকিয়া হয়েছেন সচিব,
রঘুরাম ভাট কোষাধ্যক্ষ,
প্রভতেজ ভাটিয়া যুগ্ম-সচিব।

নারী ক্রিকেটের নির্বাচনী কমিটিতেও পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘ চার বছর দায়িত্ব পালনের পর নীতু দাভিদের জায়গায় প্রধান নির্বাচক হয়েছেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার অমিতা শর্মা। তার সঙ্গে কাজ করবেন শ্যামা দে, জয়া শর্মা ও শ্রাবন্তী নাইডু। আসন্ন ২০২৫ নারী বিশ্বকাপ (ভারত-শ্রীলঙ্কা যৌথ আয়োজিত) শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

পুরুষদের নির্বাচক কমিটিতে নতুন মুখ:
পুরুষদের জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার আরপি সিং ও বাঁহাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। বোর্ডের বিশ্বাস, সাম্প্রতিক খেলার অভিজ্ঞতা তাদের সিদ্ধান্তকে আরও কার্যকর করবে। অন্যদিকে, সিনিয়র নির্বাচক কমিটি থেকে সরে গিয়ে জুনিয়র দলের চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রাক্তন তামিলনাড়ু ব্যাটার এস শারাথ।

ডব্লিউপিএল ও বয়সসীমার নতুন নিয়ম:
নারী প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লিউপিএল) কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন জয়স জর্জ। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন মিথুন মানহাস, রাজীব শুক্লা ও অরুণ সিং ধুমাল। পরিকাঠামো কমিটির নেতৃত্ব দেবেন রোহন জেটলি।

এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মও পাস হয়েছে- ১৬ বছরের নিচের কোনো ক্রিকেটার আইপিএলে খেলতে পারবে না, যদি না সে অন্তত একটি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলে থাকে।

নতুন যুগের সূচনা:
রজার বিনির বিদায়ের পর বিসিসিআইয়ের হাল ধরলেন মিথুন মানহাস। একসময় যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের আস্থার প্রতীক ছিলেন, এবার তাকে দেখা যাবে প্রশাসনিক মঞ্চে। ভারতের ক্রিকেট সাম্রাজ্যের নতুন এই অধিনায়ক কতটা সফল হবেন, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই কম ট ত র নত ন হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

হোয়াটসঅ্যাপ আসার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য অ্যাপ বানিয়েছিলাম

তখন হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না। বাইরে থেকে বাংলাদেশে টেলিফোন করাটা ছিল এক বিরাট ঝক্কি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায়ই সময়ে অসময়ে আমাকে বাংলাদেশে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে হতো। টেলিফোন করার দু-একটা অ্যাপ আমার আইফোনে ছিল, কিন্তু সেগুলো ছিল খুব বাজে।

হঠাৎ লাইন কেটে যেত, ক্রেডিট কার্ড থেকে বেশি পয়সা কেটে নিতো। একসময় মনে হলো নিজেই একটা টেলিফোন অ্যাপ বানাই না কেন। যেহেতু আইফোন ব্যবহার করি, তাই নিয়েই শুরু করলাম।

কিছুদিন পড়াশোনা করে বুঝলাম, কাজটা সহজ নয়। আর বেশ সময়সাপেক্ষ। ভয়েসওভার টেলিফোন (ভিওআইপি) অ্যাপ্লিকেশন এমনিতেই বেশ জটিল ধরনের অ্যাপ। আর আমরা যেসব প্ল্যাটফর্মে কাজ করি, সেগুলো কতগুলো নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড ও প্রচলিত প্রটোকল মেনে চলে।

কিন্তু স্টিভ জব আপেলের জন্য সবকিছু নিজস্ব ধারায় করে গেছেন। আপেল তাদের প্ল্যাটফর্মে সব কিছুতে এখনো নিজেদের তৈরি কাস্টম মেনে চলে। তবু কাজ শুরু করলাম, দেখা যাক কতটুকু যাওয়া যায়!

অ্যাপের নাম দিলাম ‘কলকরো’

প্রথমে স্ক্রিনের কাজ, যেমন ডায়াল প্যাড ও বিভিন্ন আইকন। যুক্তরাষ্ট্রে এসব গ্রাফিকসের কাজ খুব ব্যয়বহুল। ঠিক করলাম, বাইরের ফ্রিলান্সার দিয়ে করাব। ইন্টারনেটে ফ্রিলান্সারদের ভালো কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে। আমার পছন্দ ‘আপওয়ার্ক’। কী কী লাগবে তার বিবরণ দিয়ে একটা ‘প্রয়োজন’ পোস্ট করলাম।

দুই দিনের মধ্যেই সারা দুনিয়ার গ্রাফিকস ডিজাইনার হাজির! দুজনকে বাছাই করে কয়েক দিন ধরে তাঁদের সঙ্গে আমার প্রয়োজন ও অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে কথা বললাম। দুজনের মধ্যে ইউক্রেনের ডিজাইনার ছিলেন ব্যয়বহুল।

তাঁকে বাদ দিয়ে ভারতীয় একজন ডিজাইনারকে নিয়োগ দিলাম। এখানে বলে রাখি, ফ্রিলান্সারের পারিশ্রমিক ও টাকাকড়ির লেনদেন সব আপওয়ার্ক ব্যবহার করে করা হয় এবং একটা অংশ তারা কমিশন হিসেবে কেটে নেয়।

গ্রাফিকস ডিজাইন এমন কাজ যে একবারে তৃপ্ত হওয়া যায় না, বারবার আরও ভালো করার চেষ্টা চলতে থাকে। একসময় ডিজাইন শেষ হলো। স্ক্রিন লে–আউট ডিজাইনও বেশ কষ্টসাধ্য। পরের ধাপগুলো ছিল রুটিন—আপেল এপিআই ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসগুলো তৈরি করে ব্যবহারকারী ও ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি।

অ্যাপস্টোরে ‘কলকরো’ অ্যাপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শমসের মুবিন চৌধুরী: বীর বিক্রম কূটনীতিকের ‘দলছুট’ রাজনীতি
  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • হোয়াটসঅ্যাপ আসার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য অ্যাপ বানিয়েছিলাম
  • ঝিনাইদহে ৩২ বছর পর ছেলে পেলেন পিতৃপরিচয়, মা পেলেন স্ত্রীর স্বীকৃতি