ডেঙ্গুতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ
Published: 29th, September 2025 GMT
পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মো. জাকারিয়া (২২) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও চিকিৎসা পায়নি জাকারিয়া। এমনকি তার মরদেহ বহনের জন্য হাসপাতাল থেকে ট্রলি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
আরো পড়ুন:
ডেঙ্গুর ধরন বদলাচ্ছে, বাড়ছে জটিলতা ও মৃত্যু
কোটি টাকার ট্রমা সেন্টারে নেই সেবা
মরদেহ বহনের জন্য ট্রলি না দেওয়ার ঘটনায় নার্স মোসা.
মারা যাওয়া জাকারিয়া পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারোগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
পরিবার জানায়, ডেঙ্গু আক্রন্ত হওয়ায় জাকারিয়াকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
জাকারিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি করার পর কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি আমার ছেলেকে। ভালো ডাক্তার পর্যন্ত পাইনি। নার্সদের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। আমার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। মৃত্যুর পর শেষবারের মতো লাশ বহনের ট্রলি চেয়েছিলাম, সেটিও হাসপাতাল থেকে দেয়নি।”
জাকারিয়ার মা হোসনেয়ারা বেগম বলেন, “মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে, আমার ছেলে বারান্দার বেড থেকে বলছিল, আমারে নিচে নামাইয়া দাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের নার্সরা কথা বলতে রাজি হননি।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, “গতকাল রাতে হাসপাতালের নার্স মোসা. মাহমুদা ও মোসা. রুজিনাসহ যে ওয়ার্ডবয় দায়িত্বে ছিলেন তাদের শোকজ করা হয়েছে। মৃত রোগীর লাশ বহনের জন্য কেন ট্রলি দেওয়া হয়নি তার কারণ ব্যাখা করতে বলা হয়েছে তাদের। চিকিৎসা না দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ বহন র
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।