এশিয়া কাপ-২০২৫ এর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত। তবে এবার শুধু ট্রফিই নয়, জয়ী ভারতীয় দল পেল এক অভাবনীয় পুরস্কারও। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) ঘোষণা করেছে, চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ২১ কোটি রুপি বোনাস (প্রায় ২৯ কোটি টাকা), যা এশিয়া কাপের আসল প্রাইজমানির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।

রবিবার রাতে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারানোর পরই বিসিসিআই সচিব দেবজিত শইকিয়া সংবাদমাধ্যমে জানান, “এটি এক অসাধারণ জয়। তাই উদযাপনের অংশ হিসেবে ভারতীয় দল ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য ২১ কোটি রুপি নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এই অর্থ খেলোয়াড়দের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

খেলার মাঠেও ‘অপারেশন সিন্দুর’, মোদির মন্তব্যের কড়া জবাব নাকভির

আলাউদ্দিনের ফাইফার, অনিকের ছোট্ট ক্যামিও

এর আগে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারত পায় ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা) প্রাইজমানি। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এই বিশেষ পুরস্কার যেন আরও একবার প্রমাণ করল— ভারতীয় ক্রিকেট শুধু মাঠেই নয়, সংগঠনের শক্তিতেও কতটা আধিপত্য বিস্তার করছে।

পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল দেখিয়েছে দাপট। কোহলি, রোহিত কিংবা জাদেজার মতো অভিজ্ঞ তারকার বিদায়ের পরও যে তারা বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত- এই এশিয়া কাপই যেন তার সেরা বার্তা।

বিসিসিআই পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানকে তিন-তিনবার হারানোর বিষয়টি উল্লেখ করার পাশাপাশি বোনাস দেওয়ার বিষয়ে লিখেছে, “তিনবার আঘাত, শূন্য প্রতিক্রিয়া। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন। বার্তা পৌঁছে গেছে। দলের জন্য ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য ২১ কোটি টাকার পুরস্কার।”

তবে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, ভারতীয় দল ফাইনাল শেষে ট্রফি, মেডেল ও বিজয়ীর চেক সংগ্রহ করেনি। কারণ, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি মোহসীন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল সূর্যকুমারের দল।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ক র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ