হিন্দুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ নাকচ করলেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 30th, September 2025 GMT
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনের সময় হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ নাকচ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ‘হিন্দুদের ওপর কোনো সহিংসতা নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলো বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও।
হিন্দুদের ওপর নির্যাতন–নিপীড়নের অভিযোগ নাকচ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এখন ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হলো ভুয়া খবর।’
২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মানুষ নিয়েছিল, সে সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি বিস্মিত হয়েছিলাম।’ ‘অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা মেনে নিয়েছিলেন’ তিনি। সে সময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি এত কিছু ত্যাগ করতে পারেন, তবে আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলাব।’
সাক্ষাৎকারে আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস। এর মধ্যে ছিল জাতীয় নির্বাচন দেরি হওয়ার যৌক্তিকতা, রোহিঙ্গা সংকট ও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়।
আরও পড়ুনকিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার
দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।
পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।