‘ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা’—দুবাইয়ে গত পরশু রাতে এশিয়া কাপ ফাইনালের পর যে অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

ঘটনার শুরু এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ৫ উইকেটে জয়ের পর। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসার পর ভারতীয় দল জানায়, তারা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে রাজি নয়। নাকভি পাকিস্তানের স্বরাস্ট্রমন্ত্রীও।

নিজেদের এই অবস্থান জানানোর পর প্রায় এক ঘণ্টা মাঠে অপেক্ষা করেও ট্রফি হাতে পায়নি সূর্যকুমারের দল।। কারণ, ভারতীয় দলের কথা শুনে বেঁকে বসেন নাকভিও। তাঁর কথা, এসিসি সভাপতি হিসেবে তিনিই পুরস্কার তুলে দেবেন, নয়তো দেওয়া হবে না। এর ফলে ক্রিকেট ইতিহাসেই সম্ভবত প্রথমবার কোনো চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি মাঠে আসার পরেও সেটি হাতে পায়নি!

আরও পড়ুনকল্পিত ট্রফি নিয়ে উদ্‌যাপনের পর ভারতীয় অধিনায়ক বললেন, ‘এমন কিছু কখনো দেখিনি’২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অদ্ভুত এই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমটিকে সূর্যকুমার বলেছেন, ‘আমরা তো ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে বসে ছিলাম না। কাউকে অপেক্ষায়ও রাখিনি। ওরাই ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি সেটিই দেখেছি। আমি জানি না, কিছু লোক আমাদের ভিডিও করছিল। আমরা তখন দাঁড়িয়েই ছিলাম। ভেতরে যাইনি।’

এ ঘটনায় গুঞ্জন উঠেছিল, সূর্যকুমারের দল বিসিসিআই কিংবা দেশের সরকারের নির্দেশে পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রফি নেয়নি; কিন্তু সূর্যকুমার তা উড়িয়ে দেন। এই সিদ্ধান্ত মাঠেই হয়েছে জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক , ‘প্রথমেই পরিষ্কার করে বলি, পুরো টুর্নামেন্টে সরকার বা বিসিসিআই—কেউই আমাদের বলেনি যে যদি কেউ ট্রফি দেয়, আমরা নেব না। মাঠে আমরা নিজেরাই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা (এসিসি কর্মকর্তারা) তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর আমরা নিচে। আমি শুধু দেখেছি, তারা মঞ্চে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। কী নিয়ে বলছিল, সেটি আমি জানি না। এরই মধ্যে গ্যালারি থেকে কিছু মানুষ দুয়ো দিতে শুরু করল। তারপর দেখি, তাদের একজন প্রতিনিধি ট্রফিটা নিয়ে চলে গেল।’

পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ