ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার ধবলধোলাই করতে চায় নেপাল
Published: 30th, September 2025 GMT
দিনটা যে বিশেষ, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ১৪ ওভার পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন নেপালের সমর্থকেরা। নেপালের ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ৭৪। ৩৬ বলে দরকার ১০০ রান। শারজায় নেপালের সমর্থকদের উৎসব-উল্লাস আরও গাঢ় হতে শুরু করে তখন থেকেই।
শেষ পর্যন্ত তা রূপ নেয় ঐতিহাসিক উৎসবেও। গতকাল রাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯০ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে নেপাল। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এটাই তাদের প্রথম সিরিজ জয়। প্রথম ম্যাচে ১৯ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচও জেতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন ধবলধোলাইয়ের স্বপ্ন দেখছে নেপাল।
দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নেপালের ওপেনার আসিফ শেখ জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। আমরা ৩-০ তে শেষ করতে চাই। নেপালে ক্রিকেট উৎসবের মতো.
আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে তাদের মুখোমুখি হলো নেপাল। দুবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই সিরিজ নেপালের জন্য কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজও। আর সেখানেই কিনা ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে রোহিত পৌড়েলের দল!
সেই পথে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করেছে ১৭.১ ওভারে ৮৩ রানে। টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী কোনো দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলুড়ে দলের এটাই সর্বনিম্ন সংগ্রহ। নেপালের ৯০ রানের জয়টি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষ সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ রানে জয়ের নজিরও। নেপালের জন্য বিষয়টি আরেকটি দিক বিবেচনায় ভালো হলো। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব আগামী মাসেই শুরু করবে নেপাল। তার আগে এই সিরিজ জয় কাজ করবে তাদের প্রেরণা হিসেবে।
আরও পড়ুনওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নেপালের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়১১ ঘণ্টা আগেনেপালের অধিনায়ক রোহিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ভালো লাগছে। টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জয় অনেক কঠিন। (প্রথম ম্যাচের) দুই দিন পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয় দারুণ ব্যাপার...বিশ্বকে নিজেদের খেলা ও প্রতিভা দেখাতে এই সিরিজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত দুই–তিন বছর ধরে আমরা যেভাবে খেলছি, তাতে অনেকেরই মনোযোগ কাড়তে পেরেছি। আমরা এভাবেই চালিয়ে যেতে চাই এবং টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে বেশি বেশি খেলতে চাই। সিরিজটা আরও ভালোভাবে শেষ করতে চাই, সব কটি (ম্যাচ) জয়ের প্রেরণা আছে। তবে সে জন্য নতুন করে শুরু করতে হবে।’
শারজায় আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে নেপাল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই স র জ স র জ জয় প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন নিন্দনীয়: উপদেষ্টা
ভারতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অসুর রূপে প্রতিমায় উপস্থাপন ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ ও ‘অসম্মানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার কাছাইট গ্রামে কাছাইট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ‘দেশ গঠনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতিসংঘ মহাসচিবের পূর্ণ সমর্থন
নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
শারদীয় দুর্গোৎসবে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের একটি পূজামণ্ডপে অসুরের ভূমিকায় ড. মুহম্মদ ইউনূস, একটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্য একটিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে নির্মাণ করা হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক পার্থক্য বা তর্ক-বিতর্ক থাকতেই পারে, তাই একটি দেশের সরকার প্রধানকে অন্য একটি দেশে অসুর অর্থাৎ শয়তান বানিয়ে উপস্থাপন করা অশোভন ও দুঃখজনক। যারা এই কাজ করেছেন, তারা ভালো করেননি। এতে মানুষের প্রতি মানুষের সম্মানবোধ বিনষ্ট হয়।’’
এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো হবে কি-না তা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের বাইরে রয়েছেন। তারা দেশে ফিরে এলে কারা এগুলো করেছেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা করার করবেন।’’
সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘বৃহৎ এই উৎসব ঘিরে সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর আসেনি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশ গঠনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পূর্বের মতো আগামী দিনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অনেকে রয়েছেন প্রশাসন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’’
কাছাইট জামে মসজিদ ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, কাছাইট জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের আল্লামা শায়খ আব্দুল ওয়াহিদ ভূইয়া (বড় হুজুর), কাছাইট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোহাম্মদ আমির হামজা ভূইয়া, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোবারক হোসেন আকন্দ।
ঢাকা/পলাশ/বকুল