চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঐতিহাসিক এক ম্যাচ শুরু হবে। ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে এ কারণে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে শক্তি, ঐতিহ্য আর সাফল্য বিচারে এমন অসমও ম্যাচ সম্ভবত আর মাঠে গড়ায়নি।

কাজাখস্তানের আলমাদির পাভলোদার সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে কাইরাত আলমাতি। একদিকে ১৫ বার ইউরোপসেরা রিয়াল, যাদের অর্থ-বিত্ত ও ইতিহাস প্রাচুর্যময়। অন্যদিকে এই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম খেলার যোগ্যতা অর্জন করা কাজাখস্তানের ক্লাব কাইরাত।

কাইরাতের মাঠে এটাই সবচেয়ে বড় ম্যাচ। শুধু শক্তি ও সাফল্যে নয়, দুটি ক্লাবের মাঝে ভৌগোলিক দূরত্বও প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার। অতীতের ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বর্তমানের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ম্যাচ এর আগে এতটা পূবে অনুষ্ঠিত হয়নি।

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ দুই দলের মাঝে ইতিহাস, সাফল্য, সম্পদ এবং বৈশ্বিক পরিচিতিতে কতটা ফারাক—তা অনুসন্ধান করেছে। লড়াইটি কেন এতটা অসম, তা কিছু তথ্য ও উপাত্তের মাধ্যমে জানিয়েছে তারা। আসুন জেনে নিই—

ইতিহাস

রিয়াল মাদ্রিদ ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত। ১৯২৯ সালে লা লিগার প্রথম মৌসুম থেকেই প্রতিযোগিতাটিতে যোগ দেয় ক্লাবটি। বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের পাশাপাশি রিয়াল লা লিগা থেকে কখনো অবনমিত হয়নি। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল।

কাইরাত ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। কাজাখস্তান তখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। ১৯৩৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে শীর্ষ লিগ চলাকালীন কাজাখস্তান থেকে একমাত্র ক্লাব হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে কাইরাত। মোট ২৪ মৌসুম খেলেছে তারা। ১৯৮৬ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শীর্ষ লিগে সপ্তমস্থান অর্জনই এই প্রতিযোগিতায় তাদের সেরা সাফল্য।

গত মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নেওয়ার সাফল্য এভাবেই উদ্‌যাপন করেন কাইরাতের খেলোয়াড়েরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ স ফল য

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ