কাইরাত-রিয়াল মাদ্রিদ: চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে অসম লড়াই
Published: 30th, September 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঐতিহাসিক এক ম্যাচ শুরু হবে। ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে এ কারণে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে শক্তি, ঐতিহ্য আর সাফল্য বিচারে এমন অসমও ম্যাচ সম্ভবত আর মাঠে গড়ায়নি।
কাজাখস্তানের আলমাদির পাভলোদার সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে কাইরাত আলমাতি। একদিকে ১৫ বার ইউরোপসেরা রিয়াল, যাদের অর্থ-বিত্ত ও ইতিহাস প্রাচুর্যময়। অন্যদিকে এই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম খেলার যোগ্যতা অর্জন করা কাজাখস্তানের ক্লাব কাইরাত।
কাইরাতের মাঠে এটাই সবচেয়ে বড় ম্যাচ। শুধু শক্তি ও সাফল্যে নয়, দুটি ক্লাবের মাঝে ভৌগোলিক দূরত্বও প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার। অতীতের ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বর্তমানের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ম্যাচ এর আগে এতটা পূবে অনুষ্ঠিত হয়নি।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ দুই দলের মাঝে ইতিহাস, সাফল্য, সম্পদ এবং বৈশ্বিক পরিচিতিতে কতটা ফারাক—তা অনুসন্ধান করেছে। লড়াইটি কেন এতটা অসম, তা কিছু তথ্য ও উপাত্তের মাধ্যমে জানিয়েছে তারা। আসুন জেনে নিই—
ইতিহাসরিয়াল মাদ্রিদ ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত। ১৯২৯ সালে লা লিগার প্রথম মৌসুম থেকেই প্রতিযোগিতাটিতে যোগ দেয় ক্লাবটি। বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের পাশাপাশি রিয়াল লা লিগা থেকে কখনো অবনমিত হয়নি। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল।
কাইরাত ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। কাজাখস্তান তখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। ১৯৩৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে শীর্ষ লিগ চলাকালীন কাজাখস্তান থেকে একমাত্র ক্লাব হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে কাইরাত। মোট ২৪ মৌসুম খেলেছে তারা। ১৯৮৬ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শীর্ষ লিগে সপ্তমস্থান অর্জনই এই প্রতিযোগিতায় তাদের সেরা সাফল্য।
গত মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নেওয়ার সাফল্য এভাবেই উদ্যাপন করেন কাইরাতের খেলোয়াড়েরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ স ফল য
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল
২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’
জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল