নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায়  বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও 

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো.

রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।

পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ স প ট ম বর হত য র সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্থার কার্যালয় পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড়ে ঘেরা টিনশেডে ভিমরুলের চাক

বেসরকারি সংস্থাটির (এনজিও) নাম সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সিড)। ঠিকানা—দিঘীরপাড় বাজার, মনিরামপুর, যশোর। নির্বাচন কমিশন যে ৭৩টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে, সেই তালিকায় ২৫ নম্বরে আছে এই সিডের নাম।

গত রোববার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মনিরামপুর উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারের শুরুতে রাজগঞ্জ-ঝিকরগাছা সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘর। ঘরটির চারপাশ ঝোপঝাড়ে ঘেরা। দুই কক্ষের পাকা ঘর, টিনের ছাউনি। ঘরের এক পাশ ভেঙে পড়েছে। টিনের চালের কিছু অংশ ভেঙে ঝুলছে। একটি কক্ষে ভাঙাচোরা দরজা, তার ওপরে লেখা—‘ম্যানেজার কক্ষ’। ভেতরে ধুলো জমা দুটি ভাঙা আসবাবপত্র। অপর কক্ষে দরজা নেই। কক্ষের সামনে ভিমরুলের বড় চাক। জানালাগুলো খোলা, গ্রিল মরিচায় ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ছে। জরাজীর্ণ ঘরে কোনো কার্যক্রম চালানোর মতো পরিবেশ নেই। ঘরের সামনে নেই কোনো সাইনবোর্ডও।

নির্বাচন কমিশনের তালিকায় সিডের প্রধান নির্বাহী হিসেবে জন এস বিশ্বাসের নাম থাকলেও স্থানীয় লোকজন তাঁকে চেনেন না। এলাকায় তাঁকে কখনো দেখেননি।

স্থানীয় লোকজন জানান, দিঘীরপাড় বাজারের পূর্ব পাশে ১৯৯০ সালে আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি এনজিও সিড প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুর দিকে বেশ জমজমাট ছিল। তবে ২০০৭ সালে আকবর হোসেন মারা গেলে তাঁর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা দায়িত্ব নেন। এরপরই লোকজন অফিস ছেড়ে যেতে শুরু করে, কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। রেবেকা সুলতানা ও তাঁর ছেলে ঢাকায় চলে যান। ১০–১২ বছর ধরে সিডের এই অফিস পরিত্যক্ত। এক সময় জমি দখলে রাখার জন্য একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হলেও এখন সেটিও নেই।

ঘরের এক পাশ ভেঙে পড়েছে। টিনের চালের কিছু অংশ ভেঙে ঝুলছে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্থার কার্যালয় পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড়ে ঘেরা টিনশেডে ভিমরুলের চাক