প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘জাগো শরীয়তপুর’ নামে একটি সংগঠন। তারা জানান, সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকলে, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয়ে চৌরঙ্গীর মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, শরীয়তপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব কম, ফরিদপুরের দূরত্ব বেশি। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, দাপ্তরিকসহ সব কার্যক্রম ঢাকার সঙ্গে। তাই শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার মেলবন্ধন। সেই বন্ধনেই অটুট থাকতে চায় শরীয়তপুরবাসী। তাই জেলা ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত হতে চান না। 

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি তাদের। তাদের এই দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারী দিয়ে তারা বলেন, অন্তর্বতী সরকার যদি টালবাহানা করে তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দাবি না মানা হলে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচিও দেওযা হবে।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “শরীয়তপুরের মানুষদের কোনোভাবেই জোরপূর্বক প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। যদি সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।” 

তিনি জানান, ৫ তারিখে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গণসমাবেশও হবে। এরপরও যদি সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা পদ্মা সেতু অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

জাগো শরীয়তপুরের সদস্য জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হাওলাদার বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ পড়াশোনা, চাকরি কিংবা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যায়। ফরিদপুরের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই, তাই শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত করার প্রশ্নই আসে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের নামে জনগণকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি শরীয়তপুরকে জোর করে ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা হয়, তবে শরীয়তপুরের মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”

জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, “আজকের এই রৌদ্রের তাপে দাঁড়িয়ে যারা রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন, আমি তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে এই কর্মসূচি করছি। তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই যদি শরীয়তপুরকে ঢাকার সঙ্গে না রেখে জোরপূর্বক ফরিদপুরের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে এই আন্দোলন আর শান্তিপূর্ণ থাকবে না।”

তিনি আরো বলেন, “আগামী ৫ অক্টোবর আমরা জেলার সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশাল জেলা-ভিত্তিক মহাসমাবেশের আয়োজন করছি। যদি তাতেও সরকার আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করে এবং আওয়ামী লীগের একতরফা চিন্তাধারা চাপিয়ে দিতে চায়, তবে আমরা ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলাকে অচল করে দেব। আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সবকিছু ঢাকার সঙ্গে মিশে আছে। তাই আমরা ঢাকাতেই থাকতে চাই ফরিদপুরের সাথে যেতে চাই না।”

এসময় শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ও সচেতন নাগরিক সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আকাশ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক ত কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সাখাওয়াত-টিপু

বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও বন্দর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা উপজেলার সাবদীবাজার শ্রী রক্ষাকালী মন্দির পূজা মন্ডপ, দিলঘদী কলাগাছিয়া শুভকরদী পূজা মন্ডপ, সাবদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির পূজা মন্ডপ, মিরকুন্ডী শ্রী শ্রী সাধু পরেশ মহাত্মা আশ্রম পূজা মন্ডপ, শ্রী শ্রী ব্রহ্মা মন্দির ও উপাসনালয় পূজা মন্ডপ, ঋষিপাড়া পূজা মন্ডপ, প্রেমতলা পূজা মন্ডপ, লাঙ্গলবন্দ স্নান সেবা কেন্দ্র পূজা মন্ডপ, লাঙ্গলবন্দ রাজঘাট পূজা মন্ডপ, আড্ডা শ্যামপুর পূজা মন্ডপসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। 

এসময় তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন এবং পূজার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ লিটন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধান, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
  • অসুস্থ জামায়াত নেতা মাও. মঈনুদ্দিনের খোঁজখবর নিলেন বিএনপি নেতা টিপু 
  • শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও বস্ত্র বিতরণ করলেন সাখাওয়াত-টিপু 
  • আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
  • কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে বাবা-মার মৃত্যু, এতিম হলো ৪ সন্তান 
  • সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগীরা
  • সোনারগাঁয়ে মহাষ্টমীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
  • বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সাখাওয়াত-টিপু
  • জাকির খানের নির্দেশে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পানি বিতরণ