নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বিএনসিসির কার্যক্রম, আদায় হচ্ছে ফি
Published: 1st, October 2025 GMT
ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও শুরু হয়নি বিএনসিসির কার্যক্রম। তারপরও প্রতি বছর নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিএনসিসি বাবদ ফি নেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে মোট ১৯টি ব্যাচের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্বীকৃতি থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) চালু হয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীকে ৪০ টাকা করে বিএনসিসি ফি দিতে হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
বিশেষ বিবেচনায় চবির হলে থাকা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমালোচনা
জবিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ‘নিয়ন্ত্রণের শেকল’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি কার্যক্রমই নেই, তখন প্রতি বছর এই টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন? আদায়কৃত অর্থ আসলে কোথায় ব্যয় হচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯তম ব্যাচ চলমান। শিক্ষার্থীদের দাবি, যদি প্রতি ব্যাচে গড়ে ১ হাজার শিক্ষার্থী ধরা হয়, তাহলে ৪০ টাকা করে ১৯ ব্যাচে প্রায় ৮ লাখ টাকা কেবল বিএনসিসি ফি বাবদ আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শওকত ইসলাম বলেন, “ভর্তি হওয়ার সময় থেকে লক্ষ্য করেছি, ভর্তির জন্য প্রদেয় ফি ২২টি খাত বাবদ নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বিএনসিসি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির কোনো কার্যক্রম এখনো খেয়াল করিনি। তাহলে এই টাকা যাচ্ছে কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় যদি গড়ে ১ হাজার শিক্ষার্থীর থেকে ৪০ টাকা করে নেওয়া হয়, তাহলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা হয়। তাহলে এই টাকা কোন কাজে ব্যয় করা হলো?”
গত ১৯ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড.
তবে বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের টাকা এখন পর্যন্ত কোনো খাতে তা খরচ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা আসার পর থেকে রোভার স্কাউট কার্যক্রম শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। স্কাউটের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বিএনসিসি এখনো চালু হয়নি, তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এটি শুরু করা হবে।”
তিনি বলেন, “রোভার স্কাউটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিএনসিসিকেও একইভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে। লোকজনের ঘাটতি থাকলেও আমরা দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক কষ্টের পর রোভার স্কাউটে কয়েকটি অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে, আশা করছি বিএনসিসিও দ্রুত চালু হবে।”
ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনস স স ক উট
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল
২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’
জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল