ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও শুরু হয়নি বিএনসিসির কার্যক্রম। তারপরও প্রতি বছর নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিএনসিসি বাবদ ফি নেওয়া হয়।

জানা যায়, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে মোট ১৯টি ব্যাচের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্বীকৃতি থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) চালু হয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীকে ৪০ টাকা করে বিএনসিসি ফি দিতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

বিশেষ বিবেচনায় চবির হলে থাকা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমালোচনা

জবিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ‘নিয়ন্ত্রণের শেকল’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি কার্যক্রমই নেই, তখন প্রতি বছর এই টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন? আদায়কৃত অর্থ আসলে কোথায় ব্যয় হচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯তম ব্যাচ চলমান। শিক্ষার্থীদের দাবি, যদি প্রতি ব্যাচে গড়ে ১ হাজার শিক্ষার্থী ধরা হয়, তাহলে ৪০ টাকা করে ১৯ ব্যাচে প্রায় ৮ লাখ টাকা কেবল বিএনসিসি ফি বাবদ আদায় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড  ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শওকত ইসলাম বলেন, “ভর্তি হওয়ার সময় থেকে লক্ষ্য করেছি, ভর্তির জন্য প্রদেয় ফি ২২টি খাত বাবদ নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বিএনসিসি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির কোনো কার্যক্রম এখনো খেয়াল করিনি। তাহলে এই টাকা যাচ্ছে কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় যদি গড়ে ১ হাজার শিক্ষার্থীর থেকে ৪০ টাকা করে নেওয়া হয়, তাহলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা হয়। তাহলে এই টাকা কোন কাজে ব্যয় করা হলো?”

গত ১৯ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের বিষয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড.

রাজু আহমেদ বলেন, “ইউজিসি কর্তৃক বিএনসিসি এবং স্কাউটের জন্য এবার দেখলাম একসঙ্গে নেওয়া হয় দুইটা। যাই টাকা দেন, সব তো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টেই জমা হয়। প্রত্যেক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়েরই বহন করতে হয়। এবারো মূল বাজেটের সম্পূর্ণ সরকার দেবে না। যেগুলো দেয় না, সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বহন করতে হয়। আলাদা আলাদা ফাণ্ড থাকে না বলে কোনো টাকা আলাদা রাখা হয় না। তাই সব টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণেই খরচ হয়।”

তবে বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলছেন ভিন্ন কথা।  তার দাবি বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের টাকা এখন পর্যন্ত কোনো খাতে তা খরচ করা হয়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা আসার পর থেকে রোভার স্কাউট কার্যক্রম শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। স্কাউটের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বিএনসিসি এখনো চালু হয়নি, তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এটি শুরু করা হবে।”

তিনি বলেন, “রোভার স্কাউটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিএনসিসিকেও একইভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে। লোকজনের ঘাটতি থাকলেও আমরা দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক কষ্টের পর রোভার স্কাউটে কয়েকটি অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে, আশা করছি বিএনসিসিও দ্রুত চালু হবে।”

ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনস স স ক উট

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ