শহর ও গ্রামে সাবানের চাহিদার ভিন্নতা
Published: 2nd, October 2025 GMT
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানুয়ারি ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সময়ে ‘খানার আয় ও ব্যয় জরিপ’ অনুসারে পারিবারিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে শহর-গ্রামীণ পরিবেশে পার্থক্যের একটি স্পষ্ট চিত্র দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, শহরাঞ্চলীয় পরিবারের জন্য রেকর্ড করা গড় মাসিক পারিবারিক খরচ গ্রামীণ পরিবারের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। যেখানে শহুরে গড় জাতীয় গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শহরাঞ্চলে উচ্চতর ব্যয়ের খাত হিসেবে খাদ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্য ও ব্র্যান্ডেড ব্যক্তিগত যত্নসামগ্রীর (সাবানসহ) বৃহত্তর ব্যয়ের সঙ্গে সম্পর্ক দেখা যায়।
শহরবাসীকে কেবল সাবানের কার্যকারিতা নয়—সুগন্ধি, নকশা ও নতুনত্বের বাইরের বৈশিষ্ট্যকে অগ্রাধিকার দেয়। অন্যদিকে অনেক গ্রামীণ পরিবার সীমিত বাজেটে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচিত সাবান ক্রয় করতে আগ্রহী বেশি।
দামের প্রভাব
বাংলাদেশজুড়ে নিম্ন আয়ের এলাকায় ব্র্যান্ডের চেয়ে দাম সাবান পছন্দকে প্রভাবিত করে। প্রায়ই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ইকোনমি বার বা মাল্টিপ্যাক ক্রয় করে। ‘খানার আয় ও ব্যয় জরিপ’ ব্যয় বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ পরিবার শহুরে পরিবারের তুলনায় খাদ্যবহির্ভূত জিনিসপত্রের ওপর কম ব্যয় করে। অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ বলেন, শহরের গ্রাহকেরা গুণমান, সুগন্ধি বা আকর্ষণীয় নকশার জন্য প্রিমিয়াম দাম দেন।
সুগন্ধি সাবানের চাহিদা
বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি বলছে, শহুরে ক্রেতাদের জন্য সুগন্ধি একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ বলেন, তরুণ শহুরে গ্রাহকেরা প্রায়ই দীর্ঘস্থায়ী ও আন্তর্জাতিক বা অভিনব সুগন্ধি (ফুল, সাইট্রাস, ভেষজ মিশ্রণ) পছন্দ করেন। গন্ধকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সতেজতা ও সামাজিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত করেন। অন্য দিকে গ্রামীণ গ্রাহকেরা প্রায়ই হালকা বা ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি (নিম, চন্দন, স্থানীয়ভাবে পরিচিত সুগন্ধি) পছন্দ করেন। কখনো কখনো নতুন সুগন্ধির চেয়ে ঔষধি/অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানকে (যেমন নিম বা অ্যান্টিসেপটিক সাবান) অগ্রাধিকার দেন।
রং ও নকশার বৈচিত্র্য
শহুরে বাজারে আধুনিকতার কারণে সাবান বারের রং ও সমসাময়িক প্যাকেজিং নকশার প্রভাব দেখা যায়। উজ্জ্বল রং, স্বচ্ছ জেলের মতো বার, লোগো ও প্রিমিয়াম মোড়ক শহুরে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বেশি সফল। সাধারণত সুপারশপ, খুচরো দোকানে এমন সাবানের উপস্থিতি দেখা যায়। অন্যদিকে, গ্রামীণ বাজারে দৃশ্যমান নকশা ছোট ভূমিকা পালন করে। সেখানে দাম ও পরিচিতি পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র ম ণ পর ব পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।
একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্কপ্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।
২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’
অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।