অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা সাত দিন পিছিয়েছে। নতুন রুটিন অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গতকাল বুধবার এ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

সংশোধিত সূচি অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর বাংলা, ২৯ ডিসেম্বর ইংরেজি, ৩০ ডিসেম্বর গণিত, ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় হবে ৩ ঘণ্টা। পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১টায়।

আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বিশেষ পরামর্শ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বর বাংলা, ২২ ডিসেম্বর ইংরেজি, ২৩ ডিসেম্বর গণিত, ২৪ ডিসেম্বর বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ২০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হবে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন শুরু আজ, ৫ ইউনিটের আদ্যপান্ত জেনে নিন ২৯ অক্টোবর ২০২৫কত নম্বরে পরীক্ষা হবে—

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ট্যালেন্টপুল কোটায় ও সাধারণ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

বৃত্তি পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা। নীতিমালায় পরীক্ষার্থীপ্রতি বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা আর কেন্দ্র ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫

বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত সূচিতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন নিতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে। বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট মোট ৩ ঘণ্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবে না।

আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত নীতিমালা প্রকাশ০৭ অক্টোবর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র স শ ধ ত ড স ম বর ব পর ক ষ র থ র পর ক ষ এ পর ক ষ অন য য়

এছাড়াও পড়ুন:

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

আমাদের অনেকেই অনেক রাত পরযন্ত জেগে থাকি অথবা সারাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরি, প্রায়শই রাত ৮টার পরে রাতের খাবার খাই। কিন্তু নিয়মিত রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার ফলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

দেরি করে খাবার খেলে আপনার শরীর খাবার প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। ঘুমানোর আগে খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চর্বি জমা এবং সার্কাডিয়ান ছন্দে প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং কিছু বিপাকীয় সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন:

গিউলিয়া তোফানা: যার বানানো বিষ খেয়ে মরেছে ৬০০ পুরুষ

সকালে মুখ ফুলে যায় যে পাঁচ কারণে

মাসের পর মাস, এই প্রভাবগুলো আরও জটিল হতে পারে, যা আপনার দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের ওপর এমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে যে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষ্য করবেন না। 

বেশির ভাগ খাবার চর্বি হিসেবে জমা হয়

ফিটনেস ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ আশলেশা জোশী বলেন, “গভীর রাতে খাবার গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক বিপাকীয় ছন্দ ব্যাহত হয়। সূর্যাস্তের পরে, আমাদের হজম ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। রক্তে গ্লুকোজ সহনশীলতা হ্রাস পায়। তাই যদি কেউ কয়েক মাস ধরে রাত ৮টার পরে নিয়মিত খায়, তাহলে সেই খাবার থেকে প্রাপ্ত শক্তির বেশির ভাগই পুড়ে যাওয়ার পরিবর্তে চর্বি হিসেবে জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”

সার্কাডিয়ান অ্যালাইনমেন্টকে ঠিক মতো কাজ করতে দেয় না 

গভীর রাতে খাবার গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি, এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি এবং এমনকি পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো হজমের অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে  এই অভ্যাস চরচা করলে এটি সার্কাডিয়ান অ্যালাইনমেন্টকে ব্যাহত করতে পারে।

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়

রাতের বেলায় দেরিতে খাওয়ার ফলে হরমোনের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই রাতে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমে যায়, যার ফলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। লেপটিন, যে হরমোন পেট ভরা থাকার ইঙ্গিত দেয়, তাও কম সাড়া দেয়, যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খেতে হতে পারে।

রাতের খাবারে বেশি পরিমাণে প্রোটিন, শাকসবজি এবং ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নেওয়ার পরামরশ দেন চিকিৎসকেরা।  

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ