হবিগঞ্জে ২৩টি পাখি উদ্ধার, ৩ শিকারিকে জরিমানা
Published: 30th, October 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় বন্যপ্রাণী রেঞ্জের পৃথক অভিযানে অবৈধভাবে শিকার করা ২৩টি পাখি উদ্ধার হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে তিন পাখি শিকারিকে। তাদেরকে জরিমানাও করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—নবীগঞ্জ উপজেলার চরগাঁও গ্রামের জয়নাল মিয়া ও পূর্ব দেবপাড়া গ্রামের সজ্জাদ মিয়া এবং মো. সুমন মিয়া। তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.
অভিযানকালে দেবপাড়া বাজার-সংলগ্ন হাইওয়ে থেকে দুই শিকারিসহ চারটি সরালি পাখি উদ্ধার হয়। পরে নবীগঞ্জ সদর থেকে ১৬টি সরালি পাখিসহ একজনকে আটক করা হয়। বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি শালিক ও একটি ঘুঘু।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী বিক্রির অপরাধে জয়নাল মিয়াকে ৮ হাজার টাকা এবং সজ্জাদ মিয়া ও মো. সুমন মিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার করা পাখিগুলো হাওড়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন জানিয়েছেন, বিভাগীয় কর্মকর্তা আবুল কালামের দিকনির্দেশনায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। পাখি শিকার বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত উদ ধ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ জন
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৬ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন: সাখাওয়াতের অনুসারী তিন আইনজীবী- খোরশেদ আলম, মো. আল আমিন ও বিল্লাল হোসেন, তার সহকারী (মুহুরি) হিরণ বাদশা ও রাসেল বেপারী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করে।্
আদালতে সাখাওয়াত হোসেন নিজে তাদের পক্ষে শুনানি করেন। তার সঙ্গে এজলাসে শুনানিতে অংশ নেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বারী ভূঁইয়া, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক নয়ন।
এদিকে আদালতে শুনানির জন্য বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা। তার অভিযোগ, আদালতপাড়ায় অন্তত চারজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে চাননি।
জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পুলিশ শুনানিতে অংশ নিয়েছে এবং জামিনের বিরোধীতা করেছে।
জামিন পাওয়ার পর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যারা বাদী হয়েছে, তারাই প্রথমে আইনজীবী সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় তারা মামলা দিতে গেলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হচ্ছে আমি নাকি প্রশাসনকে ফোন করে মামলা নিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমি কখনও কাউকে ফোন করিনি বরং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা সরকারি আইনজীবীদের আমার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, তিনি সবসময় আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখেন এবং এই মামলায় সত্য প্রকাশ পেলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অসারতা প্রমাণিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় চেক জালিয়াতি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার পরেও গত ২৯ অক্টোবর ফতুল্লা থানায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সারাদেশে আলোড়ন তোলা সাত খুন হত্যা মামলায় বাদী পক্ষের হয়ে আদালতে লড়ে আলোচনায় আসেন সাখাওয়াত হোসেন। পরে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হন এ বিএনপি নেতা। যদিও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন তিনি।