2025-07-03@01:47:21 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«আশহ দ»:
ইসলামে আজানের জবাব দেওয়া সুন্নত। মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শুধু যে নামাজের সময় জানায়. তা নয়; বরং আমাদের আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে আহ্বান করে।আজ আমরা আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম শিখব।আজানের জবাব দেওয়ার নিয়মআজান শুনলে মুমিনের উচিত মুয়াজ্জিন যা যা বলেন, তা–ই আবার নিজের মুখে বলা। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা যখন আজান শুনবে, তখন মুয়াজ্জিন যা বলবে, তা বলো।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৩)তবে দুয়েকটি বাক্যে সামান্য ব্যতিক্রম আছে। আজানের প্রতিটি বাক্যের উচ্চারণ এবং তার জবাব নিচে দেওয়া হলো:মুয়াজ্জিন: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।জবাব: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।মুয়াজ্জিন: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।জবাব: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।মুয়াজ্জিন: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ।জবাব: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ।মুয়াজ্জিন: হাইয়্যা আলাস সালাহ এবং হাইয়্যা আলাল ফালাহ।জবাব: এই দুটি বাক্যের জবাবে বলুন, ‘লা হাওলা ওয়ালা...
তাশাহহুদ নামাজের একটি অপরিহার্য দোয়া। নামাজের বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব। তাশাহহুদের মাধ্যমে আল্লাহর প্রশংসা, নবীজি (সা.)-এর প্রতি দরুদ এবং ইমানের সাক্ষ্য প্রকাশ করা হয়।নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজে বসে, সে যেন ‘আত্তাহিয়্যাতু’ বলে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪০২)আরও পড়ুনজীবনকে ছন্দে ফেরাবে ‘ধীর নামাজ’২৪ মে ২০২৫তাশাহহুদের বাংলা উচ্চারণ তাশাহহুদের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলো। যাঁরা আরবি পড়তে পারেন না, তাঁরা তাশাহহুদের বাংলা উচ্চারণ শিখে নিতে পারেন। একই সঙ্গে অর্থ জেনে নিলে নামাজে একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে।বাংলা উচ্চারণ: ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-তাইয়্যিবাতু। আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস-সালিহীন। আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’অর্থ: ‘সকল প্রশংসা, সালাত এবং পবিত্র কথা আল্লাহর জন্য। হে নবী, আপনার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও...
নামাজে দুই রাকাত বা চার রাকাতের বৈঠকে আমরা যে ‘আত-তাহিয়্যাতু’ পাঠ করি, তার আরবি নাম হলো তাশাহ্হুদ। তাশাহ্হুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া, যা নামাজের প্রত্যেক বৈঠকে পড়তে হয়। তাশাহুদ বা আত-তাহিয়্যাতু হচ্ছে মহান আল্লাহ ও মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি কথোপকথন; যা মিরাজের রাত্রিতে সংঘটিত হয়। নামাজে যে দোয়াটি পড়া হয় এর অর্থ ও মর্ম উপলব্ধি করা প্রয়োজন।আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পেছনে নামাজ আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘আসসালামু আলা জিবরিলা ওয়া মিকাইলা ওয়া আসসালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আল্লাহ নিজেই তো সালাম। তাই যখন তোমরা কেউ নামাজ আদায় করবে, তখন সে যেন তাশাহহুদ পড়ে । কেননা, যখন তোমরা এই দোয়া পড়বে, তখন তা আসমান ও জমিনে অবস্থানকারী আল্লাহর...
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে টেনে নিচে ফেলে দেওয়া শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ১৮ মে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার আসামিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্যরা রয়েছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।গত বছরের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন শহীদ হন। ওই সময় পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে তাঁকে টেনে নিচে ফেলে দেওয়ার ভিডিও তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের...
রাসুল (সা.) হুনাইন যুদ্ধ থেকে ফিরছিলেন। দেখলেন এক কিশোর বিলালের (রা.) আজান ব্যঙ্গ করছে। কিশোরটির নাম আবু মাহজুরা। নামাজ শেষে নবীজি (সা.) কিশোরদলকে ডাকলেন। জিজ্ঞেস করলেন, কে আজান দিয়েছ? আবার আজান দাও। সবাই ভয়ে তটস্থ। ওরা একে একে আজান দিল। ভয়ে ভয়ে আবু মাহজুরাও আজান দিলেন। রাসুল (সা.) তাকে সুন্দরভাবে আজান দেওয়া শেখালেন। ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ।’আরও পড়ুনআজান ও ইকামতে যা বলা হয়১৫ ডিসেম্বর ২০২৪(অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল; আমি সাক্ষ্য...
প্রতি ওয়াক্ত ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য আজান দেওয়া হয়। নামাজের জন্য সবাইকে আহ্বান করতে আজান দেওয়া হয়। আজান শোনার পর দোয়া পড়তে হয়।আজানের দোয়া: ‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।’এই দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে ওই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন আর কিয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ আমাদের নসিব করুন; নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। আজানের পর দরুদ শরিফ পড়ে এ দোয়া পড়া সুন্নত।আরও পড়ুনসুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও...