2025-08-11@23:24:25 GMT
إجمالي نتائج البحث: 17
«ন উইয়র ক নগর র»:
কুখ্যাত শিশু যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের নিউইয়র্ক নগরের বাড়িতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি ছবি পাওয়া গেছে। এই ছবি নিয়ে অনলাইনে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন ওই ঝড় উসকে দিয়েছে। প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক নগরে জেফরি এপস্টেইনের প্রাসাদতুল্য বাসভবনের ভেতরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ফ্রেম করা ছবি পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে প্রয়াত এপস্টেইনের ম্যানহাটানের সাততলা বাড়ির ভেতরের বিবরণ তুলে ধরা হয়।শিশুদের যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এপস্টেইন। তাঁর বিচারকাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছিল। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের একটি কারাগার থেকে এপস্টেইনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এপস্টেইন আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। পরে বিচার বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এপস্টেইন...
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নিউইয়র্ক নগরের মেয়র পদে দলীয় প্রাথমিক বাছাই নির্বাচনে জোহরান মামদানি শুধু গত কয়েক বছরের মধ্যে অন্যতম বড় রাজনৈতিক অপ্রত্যাশিত বিজয় অর্জন করেননি; বরং তিনি নগরের ইতিহাসে প্রাথমিক বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থনই ছিল তাঁর প্রচারের প্রধান চালিকা শক্তি।জোহরানকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ৭৮ শতাংশ মনে করেন, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আর ৭৯ শতাংশ চান, ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হোক।নিউইয়র্কের এসব ভোটারের মধ্যে ৬৩ শতাংশ মনে করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী যদি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক নগরে আসেন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত। জোহরান বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে তিনিও সেটাই করবেন।জরিপটি পরিচালনা করেছে ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং (আইএমইইউ) পলিসি...
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার হুমকি দিয়ে বলেছেন, নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ‘কমিউনিস্ট’ জোহরান মামদানি জয়ী হলে তিনি হোয়াইট হাউসের ফেডারেল ক্ষমতা ব্যবহার করে এই নগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবেন।মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘নিউইয়র্ক নগর চালানোর জন্য যদি একজন কমিউনিস্ট নির্বাচিত হন, তাহলে নিউইয়র্ক আর আগের মতো থাকবে না। তবে হোয়াইট হাউসে আমাদের অনেক ক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে আমরাই এই নগর চালাতে পারি।’রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘নিউইয়র্ক নগর ঠিকভাবে চলবে। আমি নিউইয়র্ককে আবার গড়ে তুলব। আমি নিউইয়র্ককে ভালোবাসি।’ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা নিউইয়র্ককে ঠিক করতে যাচ্ছি। হয়তো ওয়াশিংটন থেকেই আমাদের সেটা করতে হবে।’ ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে নিউইয়র্কে ‘আইনশৃঙ্খলার অভাব’ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এবারও তিনি সরাসরি বলেননি, কোন আইন বা ক্ষমতার বলে...
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনের দলীয় বাছাইয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে প্রাথমিক জয়ী হন জোহরান মামদানি। গত ২৪ জুন এই দলীয় বাছাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।গত মঙ্গলবার র্যাঙ্কড চয়েস পদ্ধতিতে (পছন্দের ক্রমানুযায়ী পাঁচজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া) তৃতীয় ধাপে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে চূড়ান্ত জয় নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান। প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট।জোহরানের এই সুষ্পষ্ট বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে। তবে একই সঙ্গে ভোটের মাঠে তাঁর দুর্বলতা কোথায় থাকতে পারে, তা নিয়েও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।ভোটের প্রথম ধাপের ফলাফলে দেখা গেছে, ব্রাউনসভিল এবং ইস্ট ফ্ল্যাটবুশের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ–অধ্যুষিত এলাকায় খুব একটা ভালো করতে পারেননি জোহরান। এসব এলাকায় বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন অ্যান্ড্রু কুমো।ব্রাউনসভিল ও ইস্ট ফ্ল্যাটবুশের ৬০ শতাংশের বেশি বাসিন্দা কৃষ্ণাঙ্গ। এসব...
জোহরান মামদানি লোকটা কি ফাঁকা বুলি ছাড়ছেন? কথার তোড়ে পুরো ব্যবস্থাকে কাঁপিয়ে দিতে চাইছেন! এ রকম নানা কথা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নগরের মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটদলীয় এই প্রার্থীকে নিয়ে।ইতিমধ্যে তরুণ ও অভিবাসী শ্রেণির মধ্যে একধরনের আস্থার জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন জোহরান। তাঁর কথা পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নিয়ার এবং তাদের পৃষপোষক স্বৈরতান্ত্রিক নেতারাই মার্কিন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। এদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র আজ ঝুঁকির মুখে।সম্ভবত মার্কিন মুল্লুকে এ সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরেই সবচেয়ে আলোচিত নাম ৩৩ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। সুদর্শন এই তরুণের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তিনি যা বলছেন, নিজের প্রতি বিশ্বাস থেকেই বলছেন।নানান সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা জোহরানের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক কতটুকু, তা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কথা বলেছেন একাধিক বিশ্লেষকও।...
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি গতকাল রোববার তাঁর ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিজম’ বা ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’-এর পক্ষে কথা বলেছেন। জোহরানের দাবি, তিনি অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা পুরো ডেমোক্রেটিক পার্টির আদর্শ হওয়া উচিত।গতকাল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বামঘেঁষা জোহরান এ কথা বলেন। যদিও ডেমোক্রেটিক দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা এখনো জোহরানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জোহরান বলেন, নিউইয়র্কের শীর্ষ ধনী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর কর বাড়ানোর যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন, তা একদিকে যেমন বাস্তবসম্মত, তেমনি শহরের শ্রমজীবী মানুষের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে বাস সেবা, ঘণ্টায় ৩০ ডলার ন্যূনতম মজুরি দেওয়া এবং ভাড়া স্থিতিশীল রাখা।গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা পরাজিত হয়। রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও...
নিউইয়র্ক নগরীর ডেমোক্র্যাটদলীয় মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি যদি নির্বাচিত হয়ে ‘যথাযথ আচরণ’ না করেন, তাহলে সেখানে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার তিনি এই হুমকি দেন।ফক্স নিউজ উপস্থাপক মারিয়া বার্টিরোমোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি জোহরানের জেতার কথা ভাবতেই পারছেন না। কারণ, তাঁর চোখে তিনি একজন ‘খাঁটি কমিউনিস্ট’।ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ধরুন তিনি (জোহরান) মেয়র হয়ে গেলেন, আমি তখন প্রেসিডেন্ট থাকব। তাঁকে যথাযথভাবে কাজ করতেই হবে, না হলে তারা (নিউইয়র্ক) কোনো অর্থ পাবে না। তাঁকে ঠিকমতো চলতেই হবে, না হলে তারা কোনো অর্থ পাবে না।’নগরের হিসাবরক্ষক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ পেয়েছে নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ।এদিকে বাম ঘরানার ডেমোক্র্যাট...
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ে চার দিন আগে ৩৩ বছর বয়সী জোহরান মামদানি ম্যানহাটনে জনসংযোগ করছিলেন। তিনি ম্যানহাটনের ইনউড হিলপার্ক থেকে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ১৩ মাইল বা ২১ কিলোমিটার হাঁটলেন। ওই দিন হাঁটার পর তিনি বললেন, ‘নিউইয়র্কবাসীর এমন একজন মেয়র দরকার, যাঁকে তাঁরা দেখতে পারবেন, তাঁর কথা শুনতে পারবেন, এমনকি তাঁর সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলতে পারবেন।’জোহরানের এই কর্মসূচি বিখ্যাত সাবেক মেয়র এড কোচকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। তিনি প্রায়ই মানুষকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘আমি কেমন কাজ করছি?’ তাঁর প্রশ্ন শুনে এলাকা আর বছর ভেদে কেউ তাঁর প্রশংসা করতেন, কেউ গালাগাল করতেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ২৪ জুন দলীয় প্রাথমিক বাছাইয়ে জিতে, দলের প্রতিষ্ঠিত প্রার্থীদের হারিয়ে জোহরানকে এখনই নিউইয়র্কের মেয়রের মতো লাগছে।মাত্র কয়েক মাস আগেও জোহরানের এলাকার বাইরে...
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে অনেক রিপাবলিকান রাজনীতিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী তাঁকে ভুলভাবে ‘কমিউনিস্ট’ বলে থাকেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ জুন নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি ১০০ ভাগ পাগলাটে কমিউনিস্ট।’রক্ষণশীল ঘরানার পডকাস্ট উপস্থাপক নিক সোরটর ২৩ জুন এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘জোহরান মামদানি শুধু সমাজতন্ত্রী নন, তিনি একজন পুরোপুরি কমিউনিস্ট।’ তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে জোহরান নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন মুদির দোকানের নেটওয়ার্ক তৈরির কথা বলছেন। সোরটরের ভাষায়, ‘(জোহরান) বার্নি স্যান্ডার্সের চেয়েও অনেক বেশি বামপন্থী। তিনি সরকার পরিচালিত মুদির দোকান চান।’দ্য ডেইলি ওয়্যারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং পডকাস্টার বেন শ্যাপিরো বলেন, ‘আজকের সবচেয়ে বড় খবর: নিউইয়র্কের পরবর্তী মেয়র হতে যাচ্ছেন একজন কমিউনিস্ট।’ রিপাবলিকান...
রিপাবলিকান দলের কয়েকজন নেতা নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিক দলের মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিল করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা এই তরুণ প্রার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার কথা বলছেন। রিপাবলিকান নেতাদের এই বক্তব্যের মাধ্যমে জোহরান ইসলামবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে তাঁর মতো নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিক দলের মেয়র প্রার্থীর প্রতি কিছু রিপাবলিকান নেতার এমন বক্তব্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ৩৩ বছর বয়সী এই ডেমোক্রেটিক সোশালিস্ট (গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী) প্রার্থী দলীয় প্রাথমিক বাছাইয়ে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করেছেন। কুমো আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। নিউইয়র্ক ইয়াং রিপাবলিকান ক্লাব (এনওয়াইওয়াইআরসি) ডেমোক্রেটিক দলের এই ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়।সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক্সে লেখা হয়েছে, ‘চরমপন্থী জোহরান মামদানিকে আমাদের প্রিয় নিউইয়র্ক শহর ধ্বংস...
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করেছেন।গত মঙ্গলবার নির্বাচন শেষে নিউইয়র্ক নগরের বোর্ড অব ইলেকশন শাহানাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সাধারণত নিউইয়র্ক নগরে ডেমোক্রেট প্রার্থীরাই জয়লাভ করেন। আগামী ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও শাহানা হানিফ জয়লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর সমর্থকদের।প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের পর শাহানা হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন একটি নির্বাচনে আমার ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এই শহরকে সুন্দর করার জন্য তাঁরা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন জোহানকে (ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী নির্বাচিত জোহরান মামদানি)। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা সুন্দর একটি নিউইয়র্ক সিটির স্বপ্ন দেখি। আমি আমার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামর্থ্য অনুযায়ী এবং চাইল্ড কেয়ার নিয়ে আগের মতোই কাজ করে যাব। আমি চেষ্টা করব, আর কোনো...
জোহরান মামদানি, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আগামী ৪ নভেম্বর মেয়রপদে নির্বাচন হবে। এখনো মাস পাঁচেক বাকি। এরই মধ্যে ইতিহাস গড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তরুণ এই রাজনীতিক।এখনো নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচিত না হলেও ভোটার থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম—সবাই জোহরানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁর বয়স ৩৩ বছর। নির্বাচিত হলে জোহরান হবেন নিউইয়র্ক নগরের সবচেয়ে কমবয়সী মেয়র। সেই সঙ্গে প্রথম মুসলিম মেয়রও হবেন তিনি।ইকনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন জোহরান। রাজনীতিতে একেবারেই নবাগত জোহরানের দুটি বিষয় সবার নজর কেড়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, অন্য রাজনীতিকদের মতো তিনি অতটা ধনী নন। অন্যটি হলো, জোহরানের অনন্য পারিবারিক ঐতিহ্য।জোহরান শুধু অশ্বেতাঙ্গ নন, তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। জোহরানের জন্ম উগান্ডার কাম্পালায়। সাত বছর বয়সে...
কিছুদিন আগেও জোহরান মামদানি ছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার (স্টেট অ্যাসেম্বলি) এক অখ্যাত সদস্য। গত বছর তিনি যখন মেয়র পদে নিজেকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন, তখন তিনি ছিলেন এক তরুণ আইনপ্রণেতা, যার পরিচিতি ছিল খুব সীমিত। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে যান, হারান এমন সব পরিচিত ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের, যাঁদের নিউইয়র্ক নগরের ভোটারদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল। জোহরান মামদানি এখন ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী।উগান্ডা থেকে কুইন্সজোহরান মামদানি জন্মেছেন উগান্ডার কাম্পালায়। সাত বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে নিউইয়র্কে চলে আসেন। তিনি নিউইয়র্কের বিখ্যাত ব্রঙ্কস হাইস্কুল অব সায়েন্সে পড়াশোনা করেন। পরে বোডইন কলেজে আফ্রিকানা স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানেই তিনি ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’ নামের একটি ছাত্রসংগঠনের ক্যাম্পাস শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের...
মার্কিন মুলুকে ইতিহাস রচনা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। নিউইয়র্ক শহরের ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারিতে (প্রাথমিক বাছাইয়ে) বিপুল ভোট পেয়ে মেয়র পদে প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। নির্বাচিত হলে ৩৩ বছর বয়সী মামদানিই হবেন নিউইয়র্কের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ও প্রথম মুসলিম মেয়র। তাঁর জয়ের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক পোস্টে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী জোহরান মামদানির চেহারা, কণ্ঠস্বর ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিদ্রূপ করেছেন এবং তাঁকে ‘শতভাগ পাগল কমিউনিস্ট’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি শতভাগ পাগল কমিউনিস্ট, ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারি জিতে এখন তিনি মেয়র হওয়ার পথে। এর আগেও আমরা উগ্র বামপন্থীদের দেখেছি, তবে এটা রীতিমতো হাস্যকর হয়ে উঠেছে। তিনি দেখতে ভয়ংকর, বিরক্তিকর কণ্ঠ, তাঁর বুদ্ধিসুদ্ধিও খুব একটা নেই।’আরেক পোস্টে ট্রাম্প জোহরানকে সমর্থন দেওয়া...
নিউইয়র্ক নগরের সাবওয়েতে ৫৫ বছর বয়সী নারী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ওই নারী বলেন, ‘তুমি কি মুসলিম’ প্রশ্ন করার পরই তাঁকে মারধর করেছেন হামলাকারী।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমটি ওই নারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে।গত বুধবার ভোরে নিউইয়র্ক নগরের কুইন্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নারী যখন সাবওয়েতে ট্রেনে উঠছিলেন, তখন ৩৪ বছর বয়সী নাভেদ দুরানি নামের ওই হামলাকারী তাঁর খুব কাছাকাছি চলে আসেন।ওই নারী বলেন, ‘তিনি (হামলাকারী) আমাকে বললেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? তুমি কি মুসলিম?’হামলার শিকার নারী বলেন, ‘আমি বললাম, হ্যাঁ। তখনই ওই ব্যক্তি আমাকে লাথি–ঘুষি মারতে শুরু করেন, সবদিক থেকে আঘাত করেন।’ডব্লিউএবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনের দরজা বন্ধ হওয়ার পরপরই হামলা শুরু হয়। পরবর্তী স্টেশনে যাওয়া পর্যন্ত হামলা চলে। পরের...
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইপর্বে একজন তরুণ অভিবাসী এবং রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক এক গভর্নরের মধ্যে মূল লড়াইটা হবে। ওই তরুণ অভিবাসী ডেমোক্রেটিক পার্টির বামপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। আর সাবেক ওই গভর্নর একজন মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ।ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকা এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার ডেমোক্র্যাট সদস্য জোহরান মামদানি এবং সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক বাছাইপর্বকে প্রগতিশীল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রক্ষণশীল ধারার পুরোনো প্রজন্মের লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২৪ জুন প্রাথমিক বাছাইপর্বের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ডেমোক্র্যাটদের প্রাথমিক বাছাই কেন গুরুত্বপূর্ণনিউইয়র্ক নগর মূলত ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তাই বলা যায়, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ২০২১ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির...
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়িত করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদালতের এক বিচারক। এর মধ্য দিয়ে এক মাস আগে নিউইয়র্ক নগর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে বিতাড়িত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারবে। লুইজিয়ানার লাসাল অভিবাসন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স গতকাল শুক্রবার এ মত দিয়েছেন। তাঁর এ সিদ্ধান্তই যে খলিলের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দিচ্ছে, তা নয়। তবে এটিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, তিনি খলিলের মতো বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিপন্থী বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টকে উদ্ধৃত করে গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও বলেছিলেন, খলিল মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি–সংক্রান্ত স্বার্থের ক্ষতি করতে পারেন এবং তাঁর বক্তব্য...