সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে নাকি প্রেম করছেন হলিউড তারকা জেনিফার অ্যানিস্টন। তাদের এই সম্পর্ক নাকি দাম্পত্যে ফাটল ধরাচ্ছে বারাক ও মিশেল ওবামার দীর্ঘদিনের সংসারে।

তবে, এই 'প্রেম কাহিনি'র গুঞ্জন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন জেনিফার। এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট জানান, এই গল্পের কোনো ভিত্তি নেই।

'জিমি কিমেল লাইভ!' অনুষ্ঠানে এক পুরোনো পর্বে জেনিফারকে বারাক ওবামার সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক কিমেল তাকে একটি ট্যাবলয়েড ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ দেখান, যেখানে লেখা ছিল, 'জেন এবং বারাকের সম্পর্কের সত্যতা।'

বিষয়টি নিয়ে খানিকটা মজা করে তিনি বলেছিলেন, 'প্রকাশকের কাছ থেকে যখন ফোন পেলাম, তখন ভেবেছিলাম মনে হয় বড় কোনো ঝামেলার খবর। কিন্তু এই প্রচ্ছদ দেখে ভাবলাম, আচ্ছা, এটা তো খারাপ নয়।'

পরবর্তীতে সঞ্চালক সরাসরি তাকে প্রশ্ন করেন, এই গুঞ্জনে কোনো সত্যতা আছে কি না। জবাবে জেনিফার পুরোপুরি নাকচ করে বলেন, 'এটি একেবারেই মিথ্যা।'

অভিনেত্রী আরও জানান, বারাক ওবামার সঙ্গে তিনি জীবনে মাত্র একবার দেখা করেছেন এবং মিশেল ওবামাকে তিনি বেশ ভালো করে চেনেন। 

এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে, যখন বারাক ও মিশেলের বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। গুঞ্জনটি শুরু হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে বারাক ওবামার একা উপস্থিত থাকার খবরে।

এরপর, মিশেল ওবামার জন্মদিনে বারাক ওবামার পোস্ট করা ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। নেটিজেনরা ছবিটির দূরত্বপূর্ণ ভঙ্গিমা দেখে মন্তব্য করেন, ছবিতে দুজনকে এত দূরে দাঁড়িয়ে এবং কৃত্রিম হাসি দিতে দেখে কি বিচ্ছেদের গুঞ্জন সত্যি মনে হচ্ছে? কারও কি তাই মনে হয় না?'

আরেকজন লিখেছেন, 'এটি এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে ঠাণ্ডা এবং রোমান্সহীন ছবি।' 'ফ্রেন্ডস' ভক্তদের প্রিয় চরিত্রের একটি রেচেল গ্রিন। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জেনিফার অ্যানিস্টন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ