রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দে সম্মানে গণ অধিকার পরিষদের ইফতার
Published: 27th, March 2025 GMT
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই শহীদদের রূহের মাগফেরাত ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনায় দোয়া এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সম্মানে গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করবো, কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নয়। ফ্যাসিবাদ মুক্ত নারায়ণগঞ্জের সকলে মিলেই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর জেলা গঠনে কাজ করতে চাই। আমরা স্বৈরাচার কে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। স্বৈরাচারের মতো আর কেউ যেন এই দেশটাকে ধ্বংস করতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য মো.
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, মহানগর সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা অঞ্জন দাস, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, গণ অধিকার পরিষদ নেতা ড. মোঃ আসিফ মাহমুদ, খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি শেখ শাব্বীর আহমাদ ও মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহফুজ খান প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১আরো পড়ুন
তারেক রহমান কে রবি’র খোলা চিঠি
ধনী-গরিব সবাই মিলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে চাই : মামুন মাহমুদ
জেলা কৃষকদলের ৭৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
এতিমখানার ছাত্রদের নিয়ে মহানগর যুবদলের দোয়া ও ইফতার
দেশের জণগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত : মামুন মাহমুদ
স্বাধীনতা দিবসে বিজয়স্তম্ভে জেলা বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা
স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের র্যালি ও শ্রদ্ধা
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.কম
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ ল স দ ধ রগঞ জ ত র ক রহম ন ঈদ উপহ র স ব ধ নত র ইফত র ব এনপ র অন ষ ঠ র জন ত সদস য ইসল ম আহম দ ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ
ডাইং কারখানার বর্জ্যে মরছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রকাশ্যে এ দূষণ ঘটলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। পরিবেশ কর্মকর্তা চাইছেন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও নরসিংদী সদর উপজেলায় অন্তত ৬০টি ডাইং কারখানা ব্রহ্মপুত্র দূষণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। নদের তীরে অবস্থিত এসব কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই প্রতিদিন নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন।
অভিযোগ রয়েছে, নদের তীরে অবস্থিত কারখানাগুলো ইটিপি রাখলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ফেলছে। অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও খরচ কমাতে বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু কারখানার ইটিপি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সঠিকভাবে বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, নরসিংদী সদর উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় ৫০টি ডাইং কারখানা। আড়াইহাজারে স্পিনিং মিলসহ ডাইং কারখানা রয়েছে অন্তত ১০টি। নরসিংদীর ডাইং কারখানাগুলোর মধ্যে পাঁচদোনা এলাকার আবদুল্লাহ ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাঘহাটা এলাকার ফাইভ অ্যান্ড ফাইভ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সাজেদা ডাইং, আনোয়ার ডাইং, শতরূপা ডাইং, রুকু ডাইং, মেসার্স একতা ডাইং, কুড়েরপাড় এলাকার ব্রাদার্স টেক্সটাইল, ইভা ডাইং, ভগীরথপুর এলাকার এম এমকে ডাইং, নীলা ডাইং, এইচ এম ডাইং, মা সখিনা টেক্সটাইল, মুক্তাদিন ডাইং, পাঁচদোনা এলাকার তানিয়া ডাইং, সান ফ্লাওয়ার টেক্সটাইল প্রভৃতি।
আড়াইহাজারের কয়েকটি কারখানা হলো– ভাই ভাই স্পিনিং মিলস, ছাবেদ আলী স্পিনিং মিল, রফিকুল ডাইং, দিপু ডাইং ও হাজী হাবিবুর ডাইং।
আড়াইহাজার পৌরসভার চামুরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মিয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদটি। দেশীয় জাতের মাছের অভয়াশ্রম এ নদ থেকে মাছ হারিয়ে গেছে।
আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ডাইংয়ের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির রং কালচে হয়ে গেছে। একই অবস্থা অন্য কারখানাগুলোর। বর্জ্য নদে ফেলার বিষয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে গিয়ে উল্টো কারখানা কর্তৃপক্ষের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রফিকুল ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ইটিপি নেই। ডাইংয়ের পানি তারা নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে রাখেন, সরাসরি নদে ফেলেন না। ট্যাংকে জমানো পানি কোথায় ফেলেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভর ভাষ্য, কুড়েরপাড় এলাকার ডাইং কারখানাগুলোর রং মেশানো বর্জ্য পরিশোধন না করে ব্রহ্মপুত্রে ফেলায় নদটি এখন মৃতপ্রায়। দূষণের কারণে দুর্গন্ধে এর পারে দাঁড়ানো যায় না। স্থানীয়রা অনেকবার প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানা থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। ভিডিও করতে দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়।
ইভা ডাইংয়ের ইটিপি ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। অনেক কারখানা সরাসরি নদে বর্জ্য ফেললেও তারা নদ দূষণ করেন না।
একই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা কারখানাগুলো থেকেও নদে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব কারখানার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, নদে বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক বাবু জানান, ব্রহ্মপুত্রে নদে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে ডাইংসহ যেসব কারখানা সেসবের অধিকাংশই নরসিংদী জেলার অন্তর্গত। তাই নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নদ দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আড়াইহাজারের ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, কখনও কখনও কিছু কারখানা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ছেড়ে দেয়। কোন কারখানা নদ দূষণ করছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদী সংগঠন তা জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।