বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে মব সৃষ্টি করে যারা হত্যা করেছে তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালে পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন সুন্নিরা। একই সঙ্গে রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়। 

শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের উদ্যোগে সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি  আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী,  অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ,  অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এইচ এম মুজিবুল হক শাক্কুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী,  ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ  ইব্রাহিম আখতারী প্রমুখ।

সভায় আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। এত বছরেও শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসন দায়ী থাকবে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’ 

সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা রইস হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। অন্যদিকে সরকার রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অবিলম্বে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী সুপারিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হরত ল ম হ ম মদ আলক দ র আল ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং সেটে স্টান্টম্যানের মৃত্যু

রাজশাহীতে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং সেটে অসুস্থ হয়ে মনির হোসেন নামে এক স্টান্টম্যানের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ মে) বিকালে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক রায়হান রাফী। রাজশাহী নগরীর হাই-টেক পার্কে সেট বানিয়ে সিনেমাটির শুটিং চলছে; সেখানেই মনির অসুস্থবোধ করেন বলেন জানিয়েছেন কলাকুশলীরা।

রায়হান রাফী গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, মনির শট দিয়েছেন দুপুরের দিকে, শট দেওয়ার পর সুস্থ ছিলেন। সবার সঙ্গে গল্প করছিলেন। হঠাৎ করেই দুই-এক ঘণ্টা পর তার শরীর খারাপ করে। তারপর হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার জানান, মনির মারা গেছেন। সকালের দিকেই তিনি (মনির) হার্ট অ্যাটাক করছেন, কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয়নি। অসুস্থতা বা খারাপ লাগার কথাও কাউকে জানায়নি। অল্প বয়সে তার এমন মৃত্যু আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা তার মরদেহ ঢাকায় তার পরিবারের কাছে পাঠিয়েছি। আমরা চেষ্টা করব তার পরিবারের পাশে থাকার।

সহকারী ফাইট ডিরেক্টর ও স্টান্টম্যান নেপালীর সঙ্গে কাজ করতেন মনির। অসুস্থ হওয়ার পর মনিরকে হাসপাতালে নিয়েছিলেন নেপালী।

মনির ঢাকার নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। বেশ কয়েকবছর ধরেই স্টান্টম্যান হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে তিনি কাজ করছিলেন।

আসছে ঈদে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার মুক্তির কথা রয়েছে। এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাবিলা নূর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ