জন্মভূমি কুমিল্লার প্রতি গভীর প্রেম আর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরে একটি আধুনিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর।

‘বাংলাদেশের কেল্লা’ শিরোনামের গানটিতে কুমিল্লার প্রাচীন ইতিহাস, বিশ্বব্যাপী কুমিল্লার প্রভাব, আধুনিক অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে ধরার পাশাপাশি গানটিতে কুমিল্লার বীরত্বগাথা ও সংগ্রামী অতীত উঠে এসেছে। 

এর কথা লিখেছেন কুমিল্লার ইতিহাস গবেষক ও দৈনিক কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়। গানটির কথা রচনায় তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন গীতিকার রাজিব আহমেদ।

গানটির সংগীত পরিচালনা ও সুর করেছেন ভারতের মুম্বাইয়ের বিজন ভট্টাচার্য্য। সেই সঙ্গে কম্পোজিশন প্রোগ্রামিং এবং মিক্সড মাস্টারের কাজটিও তিনি ও তাঁর দলই করেছেন। গানটির সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন মুম্বাইয়ের সুদীপ্ত দাস। 

আসিফ বলেন, নিজ জেলা নিয়ে গান গাওয়ার আনন্দই আলাদা। গানটির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম কুমিল্লার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন। আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে’। 

আবুল কাশেম হৃদয় জানান, গানটির মূল থিম– কুমিল্লার গৌরবময় ইতিহাস ও সংস্কৃতি। যাতে তরুণ প্রজন্ম তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও সংস্কৃতি গানের মাধ্যমে জানতে পারে। শ্রোতাদের গানটি পছন্দ হবে– এ আশা করাই যায়। 

শিগগিরই গানটি কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের ইউটিউব চ্যানেল ও দৈনিক কুমিল্লার কাগজের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ নট র

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা

নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের ইজিবাইক চালক আকবর ফকিরকে (৬৫) হত্যার ঘটনায়  বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে সদর উপজেলার বুড়িখালী এলাকার বাঁশবাগান থেকে আকবর ফকিরের গলা ও শরীরের গোপনাঙ্গ কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত আকবর ফকির একই ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের মৃত মমিন ফকিরের ছেলে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও 

নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে নাজির ফকির বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে জেলা গোয়েন্দাহ পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি এলাকার ব্র্যাক অফিস এলাকা থেকে বাবু সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবু সরদার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, নিহত আকবর ফকির দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং শ্বাশুড়িকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি তার মেয়ে ও পুত্রবধূর দিকে কুদৃষ্টি দেন। এসব ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আকবর ফকিরকে হত্যা করেন বলে জানান বাবু সরদার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু সরদার একটি চাকু এবং স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ২০টি অ্যালার্জির ট্যাবলেট কেনেন। হত্যার দিন রাতে আকবর ফকিরকে কৌশলে নির্ধারিত স্থানে ডেকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করান। অচেতন হয়ে পড়লে গামছার টুকরা দিয়ে হাত-পা গাছে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে আকবর ফকিরকে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ বিকৃত করতে নিহতের অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন।

পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বাবু সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্থার কার্যালয় পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড়ে ঘেরা টিনশেডে ভিমরুলের চাক
  • বাড়ির মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় আকবরকে হত্যা