ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গভীর রাতে রাস্তা ব্লক করে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার ভিডিও দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় তিনটি দেশি ধারালো অস্ত্র।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– পটুয়াখালী জেলার ফজর আলীর ছেলে কামাল ওরফে সিএনজি কামাল, একই জেলার খলিল সরদারের ছেলে ইসমাঈল সরদার ও শাহ আলম মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা এবং মাদারীপুর জেলার কাঞ্চন ব্যাপারীর ছেলে রমজান ব্যাপারী ও সারোয়ার হোসেনের ছেলে লিমন মাতিব্বত। তারা সবাই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

বুধবার (৭ মে) বিকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সামছুল আলম সরকার। তিনি বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ডাকাত এবং ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

আরো পড়ুন:

পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও 

র‍্যাব পরিচয়ে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

উল্লেখ্য, সোমবার রাত ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা ব্লক করে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাত চক্রের তৎপরতা ধরা পড়েছে গাড়ির ড্যাশ ক্যামেরায়। তবে, গাড়ি চালকের দক্ষতায় অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ড্যাশক্যামের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে গাছ-পালা ফেলে ব্লক করে রেখেছে। এসময় রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে ডাকাতের কবলে পড়ে গাড়িসহ যাত্রীরা। আশপাশ থেকে প্রথমে চার জন এবং পরে আরও দুই ডাকাত বের হয়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তবে, এসময় ডাকাতের কবলে পড়া গাড়ির চালক পেছন দিকে গাড়ি টান দিয়ে চলে আসেন।

ঢাকা/রতন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষে  জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি পৌর শহরের চৌমুহনী রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন এবং জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, সরোয়ার জাহান, বেলাল, সিফাত, মিলন, সঞ্জিত দাস, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা বেগমসহ অন্তত ১৫ জন।

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ র‍্যালিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিক ও কর্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা আবুল হাসেম বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলা হয়।”

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের দাবি, “আমরা জিরো পয়েন্টে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করি। আকবর গ্রুপের লোকজন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে উসকানিমূলক স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন।”

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে সেনাবাহিনী প্রজেক্টের মালামাল চুরিতে বাঁধা দেয়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে শাহ আলম মানিকের শোডাউন
  • জেলা বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে শাহ আলম মানিকের শোডাউন
  • গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
  • কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিলে বিএনপি নেতার মৃত্যু, অসুস্থ ৩
  • বন্দরে ৭২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক