ফেরত পাঠানো হলো বিতরণের জন্য আনা ৬৫টি বকনা বাছুর
Published: 8th, May 2025 GMT
কম ওজনের কারণে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিতরণের জন্য আনা ৬৫টি বকনা বাছুর ফেরত পাঠিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। এদিন গরু নিতে আসা অর্ধশতাধিক মৎস্যজীবীকে তাই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১২০টি বকনা বাছুর বিতরণের কথা ছিল। দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষার্থে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর। স্মার্ট ডিজিটাল টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১২০টি বকনা বাছুর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান এ উপজেলার ১২০ জন মৎস্যজীবীর মাঝে বিতরণের জন্য ১২০টি বকনা বাছুর এনেছিল। ৬৫টি বকনা বাছুরের ওজন ৮০ কেজির নিচে হওয়ায় সেগুলো বিতরণ করা হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যে ৮০ কেজির বেশি ওজনের বাছুর এনে বিতরণ করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, ৬৫টি বকনা বাছুর ওজনে কম হওয়ায় সেগুলোকে বিতরণ না করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ডিজিটাল টেকনোলজি নতুন করে ৬৫টি বকনা বাছুর সরবরাহ করবে। এগুলো আসার পর বাকি মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা কেন বললেন নচিকেতা
পশ্চিমবঙ্গের জীবনমুখী শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। তার সুরে উঠে এসেছে ফুটপাতের গল্প, সাধারণ মধ্যবিত্তের মানসিকতা। তিন দশক ধরে এসব প্রতিবাদী গান দিয়েই জয় করেছেন শ্রোতার হৃদয়। শুধু তাই নয়, গানে গানে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানও ছিল নচিকেতার। তার সেই গানের কথায় আশ্বস্তের শব্দগুলো ছিলো এমন- ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে’।
এদিকে ভারতে কাশ্মিরে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। ভারতীয়রা যাকে বলছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এতে সব মিলিয়ে দুই দেশেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। আর এসকল ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। খবর আনন্দবাজারের।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে নচিকেতা বলেন, ‘একটাই কারণে আমি যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ মানুষ। আপনি-আমি।’
এই গায়ক বরাবর স্পষ্টবাদী। তার দাবি, ‘সারা পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে, যত হিংসা ছড়িয়েছে সব কয়টি যুদ্ধের নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। সব যুদ্ধ নাকি ‘স্পনসর’ করা! আমি প্রমাণ করে দেব।’
গায়কের মতে, এগুলো যুদ্ধের হিড়িক। এক শ্রেণি এর থেকে লাভবান হচ্ছে। নচিকেতা নিজের কথাপ্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তার কথায়, ‘মনে রাখবেন, রকফেলারদের তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা সেই সময় জার্মানি এবং ইতালি, দুই দেশকেই পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। এই সরবরাহ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, এটি শুধুই ব্যবসা।’ আর প্রাচীন ইতিহাস থেকেই গায়কের উপলব্ধি, যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা। কাদের মুনাফা, সেটা বুদ্ধিমানেরা সহজেই বুঝে যান।