জাবি আলোনসোই রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী কোচ
Published: 9th, May 2025 GMT
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২৫ মে রাতটা রিয়াল মাদ্রিদ ইতিহাসের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। লা লিগায় এবারের মৌসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচে এ দিন সোসিয়েদাদের মুখোমুখি হবে রিয়াল। ম্যাচের ফল যা–ই হোক, মাঠে উপস্থিত সবাই হয়তো এরপর আবেগী হয়ে উঠবেন। কারণ, রিয়ালের কোচ হিসেবে এটিই যে কার্লো আনচেলত্তির শেষ ম্যাচ হতে চলেছে!
কিংবদন্তি আনচেলত্তির জায়গা নেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন জাবি আলোনসো— এমন গুঞ্জন বেশ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা আজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েই জানিয়ে দিয়েছে, আনচেলত্তির উত্তরসূরি হতে চলেছেন আলোনসো। ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ বর্তমানে বায়ার লেভারকুসেনের দায়িত্বে আছেন। গত মৌসুমে লেভারকুসেন জার্মান বুন্দেসলিগায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে ফুটবল বিশ্বে তাঁর কদর বেড়েই চলেছে।
লেভারকুসেনের সঙ্গে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে আলোনসোর। ৬৫ বছর বয়সী আনচেলত্তির সঙ্গেও রিয়ালের চুক্তি একই সময় পর্যন্ত। তবে দুজনই মেয়াদ পূর্ণ করার এক বছর আগেই বর্তমান ঠিকানা ছেড়ে যাচ্ছেন।
রিয়াল মাদ্রিদ ইতিহাসের সফলতম কোচ কার্লো আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খরচ কত, নিহত কত মানুষ
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পৃক্ততা দীর্ঘদিনের, যা আরও একদফা বিস্তার লাভ করল এ সপ্তাহে ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় দেশটির বিমান হামলার মধ্য দিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনের ব্রিফিং অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ইরানের ফর্দো ও নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় অন্তত ১৪টি বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমা ফেলেছে। একেকটি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানের দাম প্রায় ২১০ কোটি ডলার। যে বোমাগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেগুলোর দামও কয়েক কোটি ডলার।
ইরানে গত শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওই অভিযানে ১২৫টির বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল বোমারু বিমান, জঙ্গিবিমান, জ্বালানিবাহী ট্যাঙ্কার, নজরদারি উড়োজাহাজ এবং সহায়তাকারী ইউনিট বহনকারী উড়োজাহাজ। প্রতিটি উড়োজাহাজ মোতায়েন ও পরিচালনা করতে খরচ হয়েছে কোটি কোটি ডলার।
বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে সামরিক খাতে অনেক বেশি ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র একা যে ব্যয় করে, তালিকার পরবর্তী ৯টি দেশের সম্মিলিত ব্যয়ের চেয়েও তা বেশি। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে চীনের চেয়ে প্রায় তিন গুণ এবং রাশিয়ার চেয়ে প্রায় সাত গুণ বেশি ব্যয় করে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ৯৯ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে, যা মোট বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশের সমান। এর ফলে ২০০১ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট যুদ্ধ ব্যয় আনুমানিক ৮ লাখ কোটি ডলারে দাঁড়াচ্ছে।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধগুলোয় আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য ৯/১১ পরবর্তী সংঘাতের ক্ষেত্রে প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এই প্রাণহানির দায় সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের।
আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬ থেকে ৩৮ লাখ। সরাসরি ও পরোক্ষ মিলিয়ে মোট মৃত্যু ৪৫ থেকে ৪৭ লাখ। মৃত্যুর এ মিছিল এখনও থামেনি, প্রতিনিয়ত সংখ্যা বাড়ছে। খবর আলজাজিরার।