প্রশাসনে আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে : মাও. জব্বার
Published: 9th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেছেন, গত দুই দিন ধরে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ যমুনার এরিয়া খুব গরম। সবাই বলছে ভ্যান ভ্যান আওয়ামীলীগ ভ্যান।
আমরা যদি বলি আওয়ামী লীগ এতদিন যে দু:শাসন করেছে, এরপরও যদি বলি বাংলাদেশে যদি তারা দুই-চার কোটি লোক থেকে থাকে, তাহলে তারা কি অমানুষিক মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে আজকে পুরো বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেন আপনাদের নিষিদ্ধের দাবী তুলেছে এটা আপনাদের কাছে জাতি জানতে চায়।
এ জন্য জাতি আজ আওয়াজ তুলেছে তাদের নিষ্পেসন থেকে নিষ্পাপ হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ লোক তাদের কাছ থেকে রেহাই পায় নাই। বিগত দিনে আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়েছে, কি জন্য দিয়েছে আমরা তা জানি না।
তারা টাকা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। সুতরাং যারাই জালিমবাজী করবে, যারা মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন চালাবে বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেব তারা রাজনীতি করবে কি করবে না।
শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের হাজী আব্দুস সামাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ২নং ওয়ার্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানার উদ্যোগে সহযোগী সদস্য সমাবেশ প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, ২৪ এর জুলাইয়ের যে গনহত্যা, শত শত ছাত্রকে, মহিলাকে, পুরুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে শেষ করেছে। তার ডকুমেন্ট রয়েছে। আমাদের সাবেক মেয়র ছিলেন, আওয়ামী লীগ কি জিনিস, আওয়ামীলীগের পেতাত্মাা এখনো রয়েছে।
সাবেক মেয়র আইভীর ৫টি হত্যা মামলা। তাকে এরেস্ট করতে গত রাতে যাওয়া হয়েছিল। সারারাত অনেক যত্ন করে আদর করে সেখানে যারা পুলিশ ছিলেন তারা তাকে গ্রেপ্তার করলেন না। তার বক্তব্য হল গ্রেপ্তার করতে হলে সকালে কইরেন। তাকে গ্রেপ্তার করার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সেখান থেকে বের হলেন।
কিন্তু আগে যদি কেউ জামায়াত, বিএনপি কিংবা বিরোধী মতের হলে তার বিরুদ্ধে মামলা, ওয়ারেন্ট ধুরে থাক তাকে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে থানায় নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত এই প্রশাসন ক্ষান্ত হত না। আজকে এমন কি হল এমন ভাবে সারা রাত শেষ করে আবার একজন আসামী সংবাদ সম্মেলন করে বের হতে হবে।
তাই বুঝা যায় প্রশাসনে আওয়ামীলীগের পেতাত্মারা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। এখনো তারা বিশ্বাস করতেছে আপা আবারও ফিরে আসবে। আপা যে অপকর্ম করে আপনাদেরকে ফেলে চলে গেছে সে আপা আর বাংলাদেশে ফিরে আসবে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানার নায়েবে আমীর হুমায়ুন রফিকের সভাপতিত্বে উক্ত সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমাদ এবং প্রধান আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ মো: আব্দুর রহমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানার সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ আওয় ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘তাণ্ডব’ মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে
সাবিলা নূর। অভিনেত্রী ও মডেল। গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তাণ্ডব’। চলচ্চিত্রে অভিষেক, অভিনয় নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন
চলচ্চিত্রে অভিষেক হলো, কেমন লাগছে?
‘তাণ্ডব’ সিনেমার মুক্তির পর থেকে এখনও ঘোরের মধ্যে আছি। যে সিনেমা নিয়ে এতদিন কাজ করেছি, সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টায় ছিলাম– সেটি এখন দর্শক দেখছেন। এসব ভেবে অন্যরকম এক অনূভূতি হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ‘লিচুর বাগান’, ‘তোমাকে ভেবে’ গানটি যখন বড় পর্দায় দেখেছি, তখন আসলে অন্যরকম ভালোলাগা ছুঁয়ে গিয়েছিল আমায়। দর্শক সিনেমাটি খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছেন।
দর্শকের সঙ্গে নিজের প্রথম সিনেমা দেখার অনুভূতি কেমন ছিল?
সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের সঙ্গে হলে বসে সিনেমাটি দেখেছি। এটি আমার জন্য স্মরণীয় একটি দিন ছিল। দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখার অনুভূতিই অন্যরকম। সরাসরি তাদের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।
শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি একটু বলতেন?
শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমে কাজ করতে গিয়ে একটু নার্ভাস ছিলাম। প্রথম দিন, প্রথম দৃশ্যেই তাঁর সঙ্গে অভিনয়! একটু ভয়ও কাজ করছিল। তিনি সেটে আমার জন্য পরিবেশ সহজ করে দিলেন। শুটিংয়ের সময় কখনও বুঝতে দেননি, আমার সঙ্গে এটি তাঁর প্রথম কাজ। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকার মতো। এত বড় মেগাস্টার অথচ সহযোগিতাপরায়ণ– এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর কাছে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরাপ্রাপ্তি।
সাবিলা নূর থেকে ‘নিশাত’ হয়ে ওঠার সফরটি কেমন ছিল?
খুবই রোমাঞ্চকর। নির্মাতা রায়হান রাফিসহ আমার টিমের বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। নাটকে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বিভিন্ন ধরনের চেহারায় আমাকে দেখা গেছে। দর্শক যখন আমাকে হলে গিয়ে দেখবেন, তখন যেন একটা নতুন লুকে তারা আবিষ্কার করেন– এমন ভাবনা ছিল মাথায়। লুকের ব্যাপারে অনেকবার টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি।
শাকিব খানের পাশাপাশি সঙ্গে জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সালাউদ্দিন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, রোজী সিদ্দিকীদের মতো এত গুণী অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন সিনেমায়। তাদের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করেছি। এর চাপ তো ছিল। এ কারণে নিশাত চরিত্রকে পর্দায় ফুটিতে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল।
অভিষেক হলো, এখন নিশ্চয়ই বড় পর্দায় নিয়মিত দেখা যাবে?
সিনেমায় অভিষেক ভালো হয়েছে। তাই সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। বাকিটা নির্ভর করছে দর্শক ও নির্মাতাদের ওপর। এখন আমাদের দেশে মানসম্পন্ন সিনেমা হচ্ছে। নির্মাতারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। আশা করছি, আগামীতে আরও ভালো সিনেমায় কাজ করার সুযোগ মিলবে।
ছোট পর্দায় অভিনয় নিয়ে কী ভাবছেন?
সত্যি কথা বলতে কী, আমি এখনও সেভাবে মাধ্যমের কথা চিন্তা করিনি। এখনও সিনেমাটি চলছে। আমার লক্ষ্য সব সময় ভালো কাজ করার। আমার সিনেমার ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে– এটি ছোট পর্দার কাজের কারণেই হয়েছে। ছোটপর্দার দর্শকরা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তাদের কারণেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পেয়েছি। সেখানে আমার কৃতজ্ঞতা অবশ্যই কাজ করবে। ছোটপর্দায় বাছাই করে, ভালো লাগার মতো কিছু চরিত্র থাকলে অবশ্যই অভিনয় করব।
ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য সিনেমা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
সব সিনেমাই বেশ ভালো করেছে। ভিন্ন ভিন্ন জনরার সিনেমা হয়েছে। তাসনিয়া ফারিণ ছোটপর্দার অনেক দিন কাজ করেছেন। এখন বড় পর্দায় কাজ করছেন। আমি তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছি। ‘উৎসব’ সিনেমাটিও ভালো লেগেছে। এ সিনেমায় গুণী অভিনেতাদের দেখতে পেয়েছি। এতে সাদিয়া আয়মান, সৌম্যও খুব ভালো করেছেন। নারীকেন্দ্রিক সিনেমা ‘এশা মার্ডার’ দর্শক পছন্দ করেছেন। এখন যারা কাজ করছি কিংবা ভবিষ্যতে যারা ভালো কাজ করতে চাই, তাদের জন্য এটি ভালো সংবাদ। দুই ঈদের সিনেমারই সাফল্য এসেছে। এতে অভিষ্যতে আমরা ভালো কাজের মোটিভেশন পাব। এটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই ভালো একটি ব্যাপার।
শুটিংয়ে ফিরবেন কবে?
এখন বলতে পারছি না। কয়েকটা গল্প নিয়ে কথা চলছে। পাকাপাকি হলে অবশ্যই জানাতে পারব।
দেখতে দেখতে অভিনয়ে এক দশক পার করে ফেলেছেন। পেছনে ফিরে তাকালে কী দেখতে পান?
ছোটপর্দা কিংবা ওটিটিতে আমি যে কাজগুলো করেছি, এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের বেশ সাপোর্ট পেয়েছি বলেই এতদূর আসতে পেরেছি। দর্শকের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। এ জন্য অনেক স্ট্রাগলও করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে আজকে আমি। আগামীতে দর্শকদের যেন হতাশ না করি, এটাই আমরা চাওয়া থাকবে।
দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলবেন...
তাদের তো অনেক বড় ধন্যবাদ জানাতে চাই। ‘লিচুর বাগান’-এ গানটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তারা আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসা দিয়েছেন। সিনেমাটি মুক্তির পর তাদের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে। দর্শকের এই ভালোবাসা আমাকে ভীষণ শক্তি দেয় ভবিষ্যতে ভালো কাজ করার জন্য। আশা করছি, আগামীতে তারা আমার সঙ্গে এভাবেই থাকবেন।