ঢাকার দোহারে জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার জয়পাড়া বড় মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পাড়া বড় মাঠ এলাকার আলামিন খান এবং মহিউদ্দিন ও নুরা খানের মধ্যে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজ দোহার পৌর বিএনপির সভাপতি এস এম কুদ্দুস, বিএনপি নেতা আতিকুর রহমানসহ স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য যায়। কিন্তু আলামিন খানের পক্ষের লোকজন বিচার মেনে নিলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির নেতারা সেখান থেকে চলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে আলামিন খান বলেন, ‘আমাদের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে মহিউদ্দিন ও নুরুর লোকজন। আমাদের ঘরবাড়িও কুপিয়েছে।’

তবে মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আমি আলামিনদের বাড়িতে ২ শতাংশ জমি পাব। কিন্তু তারা তা দিতে চাইছে না। আজ বিচারও মানেনি। বিচারকেরা চলে গেলে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ কয়েকজন আহত হয়েছি।’

দোহার পৌর বিএনপির সভাপতি এস এম কুদ্দুস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিন পক্ষের মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আজ তাঁরা বিষয়টি সমাধানের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা আমাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। এরপর তাঁরা চলে আসেন। পরে শুনেছেন, তাঁরা নিজেরা মারামারি করেছেন।

দোহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন সরকার বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন আহত আল ম ন আম দ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের পিটুনিতে আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

ঝালকাঠির রাজাপুরে আবু বকর (১২) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করেছেন তার শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থী রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া দারুল কুরআন নূরানি কওমি মাদ্রাসায় ওই ছাত্রকে পেটানো হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। 

অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। 

আবু বকর রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার মিঞা বাড়ি এলাকার মহসিনের ছেলে। সে গালুয়া দারুল কুরআন নূরানি কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। শিক্ষক জুনায়েদ (২৬) সাতুরিয়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে।

আবু বকর সাংবাদিকদের বলেছে, বাবা-মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিতেন না জুনায়েদ হুজুর। তিনি বলতেন, বার বার বাড়িতে কথা বললে মায়া বাড়ে। তাই, লুকিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে তানভীরের মোবাইল ফোন থেকে আমার বাবার সাথে কথা বলায় শিক্ষক জুনায়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে গাব গাছের লাঠি দিয়ে আমার সারা শরীরে পেটায়। 

আবু বকরের বাবা মহসিন বলেছেন, শিক্ষককে ফোন করে আমার ছেলেকে না মারার জন্য অনুরোধ করছি। তারপরও তাকে চরমভাবে মেরেছে। আমি তার শাস্তি চাই। 

তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদ বলেছেন, আবু বকর কথা শোনে না। তাই, তাকে কয়েকটি পিটুনি দিয়েছি। কিন্তু, রাগের মাথায় মাইর বেশি হয়ে গেছে। 

মাদ্রাসার পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, আবু বকরকে যেভাবে মারা উচিত ছিল, তার চেয়ে বেশি মারা হয়েছে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি কমিটির সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেছেন, আবু বকরের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/অলোক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ