সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে: সাকি
Published: 16th, August 2025 GMT
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও শহীদদের ঋণ পরিশোধ করতে হলে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। এই তিন কর্মসূচিতে যেন কোনো শক্তি বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য দেশের তরুণদের সচেতন থাকতে হবে।’
শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় জিএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে এক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজ আমাদের সঙ্গে তরুণেরা যুক্ত হয়েছেন, এটা আনন্দের বিষয়। তরুণেরা রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০–এর গণ–আন্দোলন, সর্বশেষ ২৪–এ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তরুণেরা জীবন দিয়ে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, তার তুলনা করা কঠিন। সেদিন রাজপথে ছাত্র-জনতার ভূমিকা আমাদের সাহসী করে তুলেছে। লড়াই–সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন ছাত্ররা। এই অর্জন যেন বেহাত না হয়, সে জন্য তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট এখনো বাংলাদেশে তাদের পেশিশক্তি দেখায়। পুলিশ ভূমিকা পালন করতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। দেশে মব মন্ত্রাস চলে। মব সৃষ্টির ঘটনাগুলোকে পুঁজি করে এখন খুনিরাও তাদের মাথা উঁচু করতে শুরু করেছে।’
জুলাই শহীদদের হত্যার বিচার প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিটি খুনের বিচার হতে হবে। জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার হত্যার বিচার চাইছে, কিন্তু বিচার হচ্ছে না। এর দায় কে নেবে? দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি জনগণ ঘরে ফিরে যায়, তাহলে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সুতরাং আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব আব্দুল মোত্তালিব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দিনাজপুর জেলা কমিটির সংগঠক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশনের ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সাকিরুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’
ভারতের বিহার রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির সাবেক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে।
জন সুরাজ পার্টির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিশ্বব্যাংক যে ১৪ হাজার কোটি রুপি দিয়েছিল, তা ভোটে জিততে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অর্থ থেকেই নীতীশ কুমারের সরকার ‘মুখ্যমন্ত্রী রোজগার যোজনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীকে ১০ হাজার রুপি দিয়েছে।
দলের জাতীয় সভাপতি উদয় সিংহ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলকে কেনা হয়েছে। ২১ জুন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। জনগণের অর্থ ব্যবহার করে জনগণের ভোট কেনা হয়েছে। আমি এটাও জানলাম যে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া রুপি নগদ অর্থবিলিতে ব্যবহার করা হয়েছে।”
চলতি সপ্তাহে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভার মধ্যে এনডিএ ২০২টি আসন জিতেছে, যার মধ্যে বিজেপি ৮৯টি, জেডিইউ ৮৫টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ১৯টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা পাঁচটি এবং রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা চারটি আসন পেয়েছে। আরজেডি-নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধন মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে।
তবে রাজ্যের নতুন দল জন সুরাজ পার্টি একটি আসনেও জয় পায়নি।
ঢাকা/শাহেদ