কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম
Published: 11th, May 2025 GMT
আগামী ১৩-২৪মে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র অনুষ্ঠিত হবে। শরীফুল ইসলাম এর আগে সাংবাদিক হিসেবে ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। সে সময় নয়াদিগন্তসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিচার স্টোরি, ফটোগ্রাফিসহ বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এবারে একজন একাডেমিক শিক্ষক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। বিশ্বের নানন দেশ থেকে আসা চলচ্চিত্রবিষয়ক অভিজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। এছাড়াও, চলচ্চিত্রবিষয়ক কর্মশালায়ও অংশ নেবেন।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম মর্যদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পাওয়া খুবই সম্মানের। আর সেটা যদি হয় একাডেমিক শিক্ষক হিসেবে, তবে তা সত্যিই অনেক গর্বের। সেখানে একটি সেশনে আমার কথা বলার সুযোগ থাকবে। আমি চেষ্টা করব, আমার দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরার। পাশাপাশি বাংলাদেশি সিনেমা নিয়েও কথা বলব।’
শরীফুল ইসলাম সময় পেলেই বিশ্বের বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে থাকেন। তিনি কান চলচ্চিত্র ছাড়াও কোরিয়ার বুসান চলচ্চিত্র, জাপানের টোকিও চলচ্চিত্র ও সৌদি আরবের রেড সি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন।
শরীফুল ইসলাম দীর্ঘ ১৫ বছর সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি নয়াদিগন্ত, ইত্তেফাক, ইনকিলাব, বৈশাখী টেলিভিশন, সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি ও উহান টেলিভিশনে কাজ করেছেন। ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউল্যাব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিউপিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র উৎসব ক ন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।