তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। দাবি আদায়ে ১২ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ২৫ মে আধা বেলা প্রতীকী কর্মবিরতির পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সওজ অধিদপ্তরের ইজারা ভূমির মাশুল আগের মতো বহাল রাখা; নবায়নকালীন সময়ে নির্ধারিত ইজারা মাশুলের পে-অর্ডারসহ আবেদন নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে জমা দিলে সেটিকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা; বিএসটিআইয়ের পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা; আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন; ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস ও নিবন্ধন প্রথা বাতিল।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ঘর বা খোলা জায়গায় অবৈধভাবে মেশিন স্থাপন করে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ; ডিলারশিপ ছাড়া বিপণন কোম্পানির সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ; ট্যাংক-লরি চালক সংকট মোকাবিলায় চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়া সহজ করা; গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় ট্যাংকলরি যত্রতত্র থামানো যাবে না। তেলের ডিপো গেটে কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করার দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল জানান, ২০২৫ সালে একাধিকবার জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিপিসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায় পড়েছেন।

তিনি আরও জানান, এমন অবস্থায় তারা জ্বালানি তেলের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে শেষ সুযোগ হিসেবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত সময় দিয়ে সরকারকে সব দাবি পূরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। দাবি মানা না হলে ২৫ মে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে, যার আওতায় সারাদেশে সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহাম্মেদ চৌধুরীসহ সব বিভাগীয় তেল ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) সকালে সীমান্ত বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়।

গত শুক্রবার ও শনিবার (২৯ জুন) এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। যার ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম

হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ

বন্দরে কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না হওয়ায় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে পূর্বনির্ধারিত ও আগাম স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্রের ভিত্তিতে গত শুক্রবার কিছু পণ্য সীমিত পরিসরে রপ্তানি করা হয়েছিল।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‍“শাট ডাউনের কারণে রবিবার বন্দরে কোনো মালামাল আসেনি। আজ থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে।”

বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শাট ডাউন প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা আজ সকাল থেকে যথারীতি কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।”

এদিকে, কর্মবিরতি চলাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো. আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলেছে। যাত্রী পারাপারে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু